হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » বাড়ির দরজায় ময়লা আবর্জনা: বিপাকে বৃদ্ধ

বাড়ির দরজায় ময়লা আবর্জনা: বিপাকে বৃদ্ধ

এম এ রাশেদ: বগুড়ার সদর  শেখেরকোলা ইউনিয়নের তেলিহারা দক্ষিণপাড়া গ্রামে প্রতিহিংসা মূলক ভাবে বাড়ির দরজায় ময়লা আবর্জনা ফেলে এক বৃদ্ধ পরিবার কে আবদ্ধ করে তাদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি কারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে দ্রুত প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তেলিহারা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিন মন্ডলের পুত্র বৃদ্ধ আব্দুস ছাত্তার মন্ডল (৮৫)।  তিনি স্ত্রীকে নিয়ে নিজ পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে টিনসেট বাড়ি করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। তার ২ ছেলে প্রবাসে থাকেন।

বাড়িতে তারা ২ বৃদ্ধ, বৃদ্ধা ছাড়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মত আর কেউ নেই। আব্দুস সাত্তার তার বাড়ির দরজার সামনে দেড় শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন।  যার রেকর্ড হয়েছে তার নামেই।

আর এই জমি কেনায় যেন তার জীবনের কাল হয়ে উঠেছে।  ক্রয়কৃত দেড় শতাংশ জমি পাশের  মৃত রইচ উদ্দিনের মেয়ে ঝর্ণা বেগমের বলে সে জায়গাটি তার দখলে নিতে বৃদ্ধ সাত্তারের পরিবারকে কারনে, অকারণে অমানসিক যন্ত্রণা দিয়ে যাচ্ছে।

তারা যেন বাড়ি থেকে বের হতে না পারে  এজন্য প্রতিনিয়তই বাড়ির সামনের দরজা ঘেষে সবজি কাটা ময়লা, আবর্জনা, মাছের কাটা, গোস্তের হাড়গোড় ফেলে যায়। যার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে মাঝে মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধ ছাত্তার ও তার স্ত্রী। শুধু তাই নয়, ধর্ণার বাড়ির সামনে দিয়ে যাতায়াত করলে সে সাত্তারকে দ্রুত জায়গা ছেড়ে দিতে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দেয়।

এলাকাবাসী জানায়, আব্দুস ছাত্তার ও ঝর্ণা বেগমের মধ্যে সামান্য কিছু জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এটি এর আগে মেম্বার ও চেয়ারম্যান সর্বশেষ পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়ে ছিল।

কিন্তু কি করণে বিষয়টি আপোষ মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় তা কেউ বলতে পারেনা। সাত্তার মন্ডলের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন কর্তৃপক্ষ সুন্দর ভাবে সালিশ বৈঠক করার চেষ্টা করে। কিন্তু ঝর্ণা তা মানে না।

সে বেপরোয়া ভাবে অসহায় বৃদ্ধ সাত্তারের বাড়ির দরজায় ময়লা আবর্জনা ফেলে তাদের চলাচলে চরম অসুবিধা সৃষ্টি করেছে। আবর্জনার দুর্গন্ধে তাদের বাড়িতে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। বাড়ির পাশ দিয়ে একটি ড্রেন টপকে সরু পথ দিয়ে তাকে হাটঘাতে যেতে হচ্ছে। বৃদ্ধ সাত্তার সে একপ্রকার ঝর্ণা বেগমের বন্দীদশায় জীবন যাপন করছেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে রগচটা ঝর্ণা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমি ছাত্তারের বাড়ির দরজার সামনে রয়েছে। আমি জমিটি দখল করতে এসব করেছি। তবে ময়লা আর্বজনা  ফেলানো ভুল হয়েছে বললেও পরক্ষণে বলেন, জায়গা বের করে না দিলে এখানে এভাবেই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার হবে।

ভুক্তভোগী বৃদ্ধ সাত্তার ঝর্ণার এহেন কর্মকাণ্ড থেকে দ্রুত রক্ষা পেতে জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন ফিরোজা পারভীন ও সদর পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

error: Content is protected !!