হোম » সারাদেশ » নাটোরের নলডাঙ্গায় একের পর এক দুর্বৃত্তিদের হাতে মারপিটের শিকার জনসাধারন নেই পুলিশি তৎপরতা  

নাটোরের নলডাঙ্গায় একের পর এক দুর্বৃত্তিদের হাতে মারপিটের শিকার জনসাধারন নেই পুলিশি তৎপরতা  

মোস্তাফিজুর রহমান, নলডাঙ্গা(নাটোর)প্রতিনিধি: নাটোরের নলডাঙ্গায় একের পর এক সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী সহ আহত অভিযোগ বা মামলা হলেও  নেই পুলিশি তৎপরতা। নলডাঙ্গায় জামায়াতের সেক্রেটারী ফজলুর রহমান ফজল ডাক্তার কে কুপিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। ২৬ অক্টোবর  রাত পৌনে ১০ টার দিকে উপজেলার নলডাঙ্গা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে  রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। আহত নফজলুর রহমান ফজল (৬২), জামায়াতে ইসলামী দলের নলডাঙ্গা উপজেলা সেক্রেটারী ও মাধবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক এবং পল্লী চিকিৎসক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৬ অক্টোবর রাত পৌনে ১০ টার দিকে নলডাঙ্গা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক দিয়ে নলডাঙ্গা  ফজলুর রহমান ফজল মোটরসাইকেল যোগে নলডাঙ্গা বাজার থেকে মাধবপুরে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।এসময় হেলমেট পরিহিত ৪-৫ জন যুবক জামায়াত নেতা ফজলুল রহমানের পথরোধ করে এলোপাতারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে  মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায় দুর্বুত্তরা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত ফজলুর রহমান ফজল ডাক্তারের ছেলে জুলফিকার আলী বলেন,আমার বাবা কে এমনভাবে কুপিয়েছে দুই পায়ের রগ কেটে গেছে,পিঠের উপর চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়েছে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা।প্রচুর রক্তক্ষখন হয়েছে বলে যানান তিনি।
এর আগে ২৫ অক্টোবর রাতে উপজেলার নরশৎপুর গ্রামের জামায়াতে ইসলামীর ওর্য়াড নেতা আলাদ্দিন ডাক্তার একই কায়দায় পিটিয়ে ডানহাত ও মটরসাইকেল ভাংচুর করে দৃবুর্ত্তরা । এছাড়াও উপজেলার এ বাঁশিলা গ্রামের ইসলামী বক্তা নুরশাত কে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে হেলমেট পরিহিত দৃর্বুত্তরা। ২৪ অক্টোবর উপজেলার কাঠুয়াগাড়ি পুজা মন্ডপ সংলগ্ন কিশোর-কিশোরদের মাঝে কথা কাটা কাটির জেরে প্রতিপক্ষ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে ঘটনাস্থল থেকে অপরাধী পালিয়ে গেলেও  জনসাধারণ দেশি  অস্ত্র ও একটি মটরসাইকেল জব্দ করে থানায় খবর দিলে  পুলিশ এসে অস্ত্র উদ্ধার ও মোটরসাইকেল থানায় নিয়ে যায় ভুক্তভোগী পরিবার মামলা বা অভিযোগ দিতে চাইলে পুলিশ জানাই আপনাদেরকে ফোনে ডেকে নেয়া হবে। ভুক্তভিগী পরিবার ঘটনার একদিন পরে থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা বা অভিযোগ করতে গেলে থানা পুলিশ বলে  মামলা হলে ওরা দুদিন পর জামিন নিয়ে আসবে পরে তো আপনাদের উপর আক্রমণ করবে থানা পুলিশ জানায় আপনাদের ইচ্ছা মামলা করলেও খুশি না করলেও খুশি। এ বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি অস্ত্র উদ্ধার হলেও নেওয়া হয়নি কোন পুলিশি ব্যবস্থা।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন,বাড়ি ফেরার পথে জামায়াতের সেক্রেটারীকে কোপানোর খবর পেয়ে অপরাধীদের শনাক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। কারা কিভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এখনো জানা যায়নি।
error: Content is protected !!