হোম » সারাদেশ » কামারখন্দে প্রেমিকাকে আত্নহত্যার প্ররচনা ও সহায়তার অপরাধে প্রেমিকসহ আটক ২

কামারখন্দে প্রেমিকাকে আত্নহত্যার প্ররচনা ও সহায়তার অপরাধে প্রেমিকসহ আটক ২

হুমায়ুন কবির সুমন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জে কামারখন্দ উপজেলার প্রেমিকা হাসনা খাতুন (১৭) হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ২জনকে ১২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে কামারখন্দ থানা পুলিশ।

হত্যা মামলার প্রধান আসামী ও ২নং আসামীকে ঢাকার আশুলিয়া থেকে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গ্রেফতার করা হয়। হত্যা মামলার প্রধান আসামী প্রেমিক মো: ইউনুস আলী (২৭)। সে কামারখন্দ উপজেলায় বড়কুড়া গ্রামের মো: আবু বক্কর এর ছেলে। অপর আসামী তার বাবা মো: আবু বক্কর (৫০)। ৩নং আসামী তার মা মোছাঃ ফরিদা পারভীন (৪৫) পালাতক আছে।

প্রেমিকাকে আত্নহত্যার প্ররচনা ও সহায়তার অপরাধে নিহতের বাবা চরকুড়া গ্রামের মোঃ হাসেন আলী (৪৫) বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন। ঘটনায় জড়িত আসামিদের শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারে কামারখন্দ থানা পুলিশের এসআই মো: হাফিজুর রহমান হাফিজ, এসআই মানিক, এসআই শুভ, এএসআই রফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল শামসুল তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ১নং আসামী ও ২নং আসামীকে ১২ঘন্টার মধ্যে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেন।

মামলা সূত্রে জানায়ায়, হাসনা খাতুনের সাথে ১নং আসামী মোঃ ইউনুছ আলীর ফ্লেক্সিলোড এর দোকানে যাতায়াত এর সুবাদে সু-কৌশলে হাসনার সাথে পরিচিত হয় এবং সেই সুযোগে ১নং আসামী বিয়ের প্রলোভন দিয়া বিভিন্ন সময় প্রেম নিবেদন করতো। হাসনা বিয়েতে রাজি হলে মোঃ ইউনুছ আলী হাসনাকে বিয়ে করবে বলে  প্রতিশ্রুতি দেয়।

মোঃ ইউনুছ আলী হাসনাকে বিয়ে করতে চাওয়ায় প্রায় ৪ মাস পূর্বে গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ তারিকুল ইসলাম এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মহিউদ্দিন সরকার এর মাধ্যমে মোঃ ইউনুছ আলীর বাবা-মা দের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাই হাসনার পরিবার। এসময় মোঃ ইউনুছ আলীর পরিবার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। এসময়  হাসনার পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করে।

আসামী মোঃ ইউনুছ আলী পুনরায় হাসনার সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিভিন্ন প্রকার কু-প্রস্তাব ও গাল মন্দ করতে থাকে। এমনকি হাসনার অন্যকোন জায়গা থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসলে তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার কু-কথা বলে বিয়ে প্রস্তাব ভেঙ্গে দেয়। হাসনা খাতুন এমন পরিস্থিতি সহ্য করতে না পেরে বুধবার (১২এপ্রিল) বিকাল অনুমানিক ৪টার দিকে আত্নহত্যা করেন। হাসনার পরিবারের অভিযোগ হাসনা খাতুন উল্লেখিত আসামীদের অপমান সহ্য করতে না পেরে সকলের অগোচরে মনের দুঃখে ঘরের ধরনার সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

এবিষয়ে কামারখন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নুরনবী প্রধান জানান, আত্নহত্যার প্ররচনা ও সহায়তার অপরাধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এঘটনার পর ১২ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামীসহ দুজনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

Loading

error: Content is protected !!