হোম » সারাদেশ » ভৈরবে জোর পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

ভৈরবে জোর পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

এম আর ওয়াসিম: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জোর পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের ইমামেরচরে এ ঘটনা ঘটেছে।
ফলে এ নিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। শুধু তাই নয়, এ জমি দখল নিয়ে যেকোন সময় এলাকায় সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
জানাগেছে, শিমুলকান্দি গ্রামের নোয়ারিশ আলি ১৯৮৪ সালে একই ইউনিয়নের ইমামেরচর গ্রামের রোস্তম আলী গংদের কাছে ৩০ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। এরপর থেকে রোস্তম আলী গংরা জমিটি ভোগ দখল করে আসছে। এক পর্যায়ে বাউসমারা গ্রামের জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী নাজমা বেগমের কাছে বিক্রি করে দেন রোস্তম আলী গংরা। পরে নাজমা বেগমের কাছ থেকে আবার ইমামেরচর গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে শাহজাহান মিয়া ২০১৬ সালে জমিটি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন।
শাহজাহান মিয়ার দাবী, জমিটি ক্রয় সূত্রে আগেও তাদের ছিল, এখনও তারাই মালিক। যদিও বাউসমারা গ্রামের নাজমা বেগমের কাছে একবার বিক্রি করা হয়ে ছিল। ২০১৬ সালে তার কাছ থেকে জমিটি আবার তারাই কিনে নিয়েছেন।
কিন্তু  শিমুলকান্দি গ্রামের আহাদ মিয়া, শাজাহান মিয়া, নেকবর মিয়া, মিন্নত আলীকে সঙ্গে নিয়ে ইমামেরচর গ্রামের আজাহারুল ইসলাম ফিরোজ জমিটি জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা করছে। তিনি আরও জানান, তারা একটি জাল দলিলের মাধ্যমে আমাদেরকে হয়রানি করছে। ফলে এ নিয়ে আদালতে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি চলমান রয়েছে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে আহাদ মিয়া, শাজাহান ও মিন্নত আলী বলেন, ১৯৮২ সালে নোয়ারিশ আলি তার ৩ ছেলে জিন্নত আলি, মেহের আলি ও নুর আলির কাছে পুরো জমিটি বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আমরা তাদের কাছ থেকে জমিটি কিনে নিয়েছি। একই সঙ্গে নামজারিও (খারিজ) করা হয়। শুধু তাই নয়, ইমামেরচর গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে শাহজাহান মিয়া আদালতে যে মামলাটি দায়ের করেছেন। সে মামলার রায়ও আমাদের পক্ষেই এসেছে।
এছাড়া আজহারুল ইসলাম ফিরোজের দাবী, জমিটি কেনার পর তিনি ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ফেলে উচু করে গাছের চারা রোপন করেছেন। তারপরও রোস্তম আলীর ছেলে শাহজাহান মিয়া তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে শিমুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ইপি সদস্য ও প্যনেল চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দীন বলেন, একটি পক্ষ শক্তি প্রয়োগ এবং জাল দলিলের মাধ্যমে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছে। এ ছাড়া আর কিছুই না।

Loading

error: Content is protected !!