হোম » সারাদেশ » না’গঞ্জে সহযোগীসহ মোশা বাহিনীর প্রধান গ্রেফতার

না’গঞ্জে সহযোগীসহ মোশা বাহিনীর প্রধান গ্রেফতার

নারায়ণগন্ঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা এবং গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রধান মোশা বাহিনীর প্রধান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে মোশা (৪৭)কে তার এক সহযোগী দেলোয়ার হোসেন (৫২)সহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় ৩১ মে দিবাগত রাতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী এলাকা থেকে র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-১৩ এর যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে রূপগঞ্জের নাওড়া এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করে র‌্যাব’র আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। মোশারফ হোসেন মোশা রূপগঞ্জের হাজি মোতালেব ভূইয়ার ছেলে এবং সহযোগী দেলোয়ার হোসেন একই থানার মৃত ছালাম মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব জানায়, এই গ্রæপটি দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও তার পাশ্ববর্তী এলাকায় হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, হত্যা চেষ্টা, প্রতারণা, জমি দখল, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত।

এবার নিয়ে মোশারফকে ছয়বার গ্রেফতার করা হয়। এর আগেও পাঁচ বার জেল খেটেছে মোশা। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টা, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ ৪০টির বেশি মামলা রয়েছে বলে জানায় র‌্যাব। দেলোয়ারের বিরুদ্ধেও রূপগঞ্জ থানায় পাঁচের অধিক মামলা রয়েছে জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলন র‌্যাব আরও জানায়, গত ২৫ মে রূপগঞ্জে স্থানীয় জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা এবং গুলিবর্ষণ করে এই বাহিনী। সেই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় ২০/২৫ জন গুরুতর আহত হয়। পরে এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। সেই মামলার সূত্রধরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের বিভিন্ন অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানায় র‌্যাব।

উল্লেখ্য, রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকার চিনখলা গ্রামে গত ২৫ মে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মোশা বাহিনীর সঙ্গে গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সে সময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণসহ পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ছুটে গেলে তাদের ওপরও চড়াও হয় মোশা বাহিনী।

সে সময় পুলিশ মোশাকে গ্রেফতারও করে। তবে মোশার সহযোগীরা হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। সেই ঘটনায় পুলিশ ও গ্রামবাসীসহ অন্তত ২০/২৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে সেই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোশা বাহিনীর তিন নারী সদস্যসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় একটি পুলিশ বাদী মামলা এবং আরও একটি এলাকাবাসীর পক্ষে মামলা দায়ের করা হয়।

error: Content is protected !!