হোম » সারাদেশ » নারীর মাসিককালীন স্বাস্থ্য নিয়ে অস্বস্তি এখনো প্রকট

নারীর মাসিককালীন স্বাস্থ্য নিয়ে অস্বস্তি এখনো প্রকট

আওয়াজ অনলাইন: নারীর মাসিককালীন স্বাস্থ্য নিয়ে সমাজে কুসংস্কার আর অস্বস্তি এখনো প্রকট। এই ট্যাবু ভাঙতেই বিশ্বব্যাপী পালিত হয় মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস। বিশেষ করে কিশোরীদের শারীরিক আর মানসিক পরিবর্তনের এই সময়টাতে বাড়তি নজর দেয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 

নারীর স্বাভাবিক জীবনচক্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ- মিন্সট্রেশন বা পিরিয়ড়। কিন্তু, এ নিয়ে অস্বস্তির শেষ নেই। বিশেষ করে যাদের প্রথম-প্রথম মাসিক হয়, এই সময়টাতে তাদের নানা ধরনের প্রভাব পড়ে শরীরে আর মনে। এর সঙ্গে সন্তান ধারণের সক্ষমতা সম্পর্কিত।

সাধারণত ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে নারীর পিরিয়ড শুরু হয় এবং ৫০ থেকে ৫২ বছর বয়স পর্যন্ত এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াটি চলে। এ সময়কালের মধ্যে নারীর সন্তান ধারণের সক্ষমতা থাকে। বেশিরভাগ নারী-কিশোরী মাসিক স্বাস্থ্য নিয়ে জনসমক্ষে কথা বলতে দ্বিধা করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজনীন সরকার বলেন, এই খুব স্বাভাবিক বিষয়টি এখনো বাংলাদেশে স্বাভাবিক আলোচনার বিষয় নয়। এখনো এ বিষয়গুলোকে গোপনীয়, একান্ত মেয়েলি বলে গন্য করা হয়। মাসিক নিয়ে অনেক কুসংস্কার সমাজে প্রচলিত। তবে আশার কথা হলো বাংলাদেশে দিন দিন বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে।

চিকিৎসক সিফাত জাহান প্রীতি বলেন, কিছু কুসংস্কারের সাথে যুক্ত হয় অস্বস্তি আর লজ্জা। তাই, পিরিয়ড সময়ে স্বাস্থ্য নিয়ে উদাসীন হয়ে পড়ার ঘটনাও আছে অনেক। এতে, নানারকম জটিল রোগের শিকার হয় নারী। মাসিককালীন অবস্থায় পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল আর নগর ব্যবস্থায় উপযুক্ত পানি আর স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নারীর চলার পথ সুন্দর করবে।

‘২০৩০ সালের মধ্যে ঋতুস্রাবকে দৈনন্দিন জীবনের একটি স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে’ এম প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস। ঋতুস্রাব বা মাসিকের কারণে কোনো নারী যেন তার স্বাভাবিক জীবনে পিছিয়ে না পড়েন তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই প্রতিপাদ্যটি ঠিক করা হয়েছে।

মাসিক ও মাসিকের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর মে মাসের ২৮ তারিখ সারা বিশ্বে মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস পালন করা হয়।

error: Content is protected !!