হোম » সারাদেশ » দাগনভূঞায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত -১০

দাগনভূঞায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত -১০

দাগনভূঞা প্রতিনিধি: দাগনভূঞায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১০জন আহত হয়েছে । শনিবার (২৯ এপ্রিল) উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের উত্তর গজারিয়া গ্রামে ( ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরিজ উদ দৌলার বাড়ির সামনে) এঘটনাটি ঘটে।  আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে ওই গ্রামের প্রতিবন্ধী ইয়াছিনের ছেলে রিফাত (১৭) স্থানীয় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই এলাকার মজিবুল হকের ছেলে লিওনের (১৭),জহিরের ছেলে তারেক (২৪) এবং আবুল কালামের ছেলে সিয়াম (১৬) ‘র সামনে সিগারেট খাওয়ায় তারা তিনজন নিজেদেরকে বড়ভাই দাবি করে তাকে ধরে গজারিয়া বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে নিয়ে চড়থাপ্পড় দিয়ে ছেড়ে দেয়।
এঘটনায় রিফাতের বন্ধু স্থানীয় রহিম উল্যার ছেলে শুভ (১৮) ও এমামের ছেলে শামীম (১৭),হাফিজের ছেলে রাকিব (২২),কামালের ছেলে তুষার (২১), বাবুলের ছেলে মামুন(১৮), আজম খানের ছেলে আস্রাফ(২৪), পশ্চিম গজারিয়ার ইসমাঈলের ছেলে মোর্শেদ (২১) এবং পাশবর্তী ওমরাবাদ গ্রামের শাহীনের ছেলে আনন্দ(১৭) প্রতিবাদ করলে একই এলাকার ছুট্টু মিয়ার ছেলে জিল্লুর রহমান তানজিল (১৮),মিন্টুর ছেলে লিসান আহমেদ (২৩)
এসে লিওনের পক্ষ নিলে উভয় পক্ষের মাঝে গজারিয়া বাজারে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদ হোসেন এবং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি রমিজ উদ্দিনের এগিয়ে এসে দু-পক্ষকে শান্ত করে পরবর্তীতে বিষয়টি মিমাংসার আশ্বাস দিয়ে সবাইকে তাড়িয়ে দেন।
এরপরও একইদিন রাত ১০টার দিকে তানজিল,লিসান ও লিওনের পক্ষ নিয়ে  উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামের সিরাজ উল্যার ছেলে শহীদুল ইসলাম নয়ন (২৩), ও একই গ্রামের আবদুল হান্নান (২৪) নামে দুই যুবক  রিফাতসহ তার সঙ্গীদের খুঁজতে  ঘটনাস্থলে হাজির হলে ঘটনাটি সংঘর্ষে রুপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
এরই মধ্যে খবর পেয়ে দাগনভূঞা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় মৃত জহির মাস্টারের ছেলে রমিজ (২৮ )কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
আহতদের মধ্যে ৪/৫ পুলিশের পালিয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিলেও  নয়ন ও হান্নানসহ ৫জনকে ফেনী জনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৩জন বাড়ি চলে গেলেও  আশংকাজনক অবস্থায় নয়ন ও হান্নানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
দাগনভূঞা থানার ওসি মো. হাসান ইমাম সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,এব্যাপারে এখনও কোন মামলা হয়নি। তবে,পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় আনা হয়েছে।
error: Content is protected !!