হোম » সারাদেশ » ১৮.৭ শতাংশ কমেছে দরিদ্রের হার, বিবিএসের নতুন তথ্য:

১৮.৭ শতাংশ কমেছে দরিদ্রের হার, বিবিএসের নতুন তথ্য:

আওয়াজ অনলাইন: স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের চ্যালেন্ঞ্জ ছিলো ক্ষুদা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। বিপুল সংখ্যাক জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে পন্য আমদানি করা হতো। ফলে দেশিয় উন্নয় অসম্ভব ছিলো। এরকম প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটা স্বয়ংস্পূর্ণ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট হয়েছে। সরকারী বিভিন্ন পরিকল্পনা, উদ্যোগ ও তা যথাযথ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের দরিদ্রের হার কমেছে বহুগুণে। দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের নেওয়া নানা কর্মসূচির কারণে দেশে দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষের হার কমেছে বলে জানিয়েছে দারিদ্র্যের হার নির্ধারণে কাজ করা সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

খানা আয় ও ব্যয় জরিপের বরাত দিয়ে বিবিএস জানায়, ২০২২ সালে দারিদ্র্যের হার কমে হয়েছে ১৮ দশমিক সাত শতাংশ। এর আগে এই হার ছিল ২৪ দশমিক তিন শতাংশ।

বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বিবিএস মিলনায়তনে এক জরিপের বরাত দিয়ে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বিবিএস জানায়, শহরের চেয়ে গ্রামে দারিদ্র্যের হার বেশি। গত বছর খানার গড় মাসিক আয় বেড়ে হয়েছে ৩২ হাজার ৪২২ টাকা। আর ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৩১ হাজার ৫০০ টাকা। তবে দারিদ্র্যের হার কমলেও দেশে বৈষম্য বেড়েছে। ২০২২ সালে জিনি সহগের মান হয়েছে দশমিক ৪৯৯। এর আগে ২০১৬ সালে খানা জরিপ করে বিবিএস। তখন দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক তিন শতাংশ।

তথ্য বলছে, ২০২২ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার হয়েছে ১৮ দশমিক সাত শতাংশ।  এটি ২০১৬ এ ছিলো ২৪ দশমিক চার এবং ২০১৬ তে ছিল ৩১ দশমিক পাঁচ শতাংশ।

বর্তমানে পল্লীতে দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং শহরে ১৪ দশমিক সাত শতাংশ। অন্য দিকে অতিদারিদ্যের হার পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ। এর মধ্যে পল্লী এলাকায় ছয় দশমিক পাঁচ এবং শহরে তিন দশমিক আট শতাংশ।

২০১৬ সালের পর এ সম্পর্কিত কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি বিবিএস। সংস্থাটির সর্বশেষ ‘হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (এইচআইইএস) ২০১৬’ প্রকাশ করেছিল।

Loading

error: Content is protected !!