হোম » সারাদেশ » ওসি’র প্রচেষ্টায় এবারে প্রথম ডোমারে সকল দুর্গা মণ্ডপ থাকবে সিসি ক্যামেরার আওতায়

ওসি’র প্রচেষ্টায় এবারে প্রথম ডোমারে সকল দুর্গা মণ্ডপ থাকবে সিসি ক্যামেরার আওতায়

মোঃরিমন চৌধুরী, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উৎসবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে আনন্দ উৎসবের কোন কমতি থাকে না। তবে দুর্গাপূজা আসলেই কিছু উগ্র মানুষ মণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এ আশংকায় পুরো পুজা কাটে, পুজা আয়োজনকারীদের।
তবে এবার ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবীর প্রচেষ্টায় ডোমার উপজেলার ১০২টি পুজা মণ্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে স্মার্ট সিসি ক্যামেরা বিতরণ চলছে।  ওসির নিরলস প্রচেষ্টার ফলে সিসি ক্যামেরার আওতায় উপজেলার প্রতিটি পুজা মণ্ডব আসার কারণে এবার কোন বিশৃঙ্খলার আশংকা করছেন না আয়োজকরা। এজন্য এবার দুর্গাপূজায় বেশি আনন্দ ও উৎসব হবে বলে মনে করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষরা। তারা ডোমার থানার ওসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
পূজা উৎযাপন পরিষদ সুত্র জানায়, এবার গোটা উপজেলায় ১০২টি মণ্ডবে শারদীয় দুর্গাপূজা হবে। এরমধ্যে  পৌরসভা এলাকায় ৯টি, ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নে ৬টি, কেতকীবাড়ী ইউনিয়নে ৯টি, গোমনাতী ইউনিয়নে ৬টি, জোড়াবাড়ী ইউনিয়নে ৯টি, বামুনিয়া ইউনিয়নে ১০টি, পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নে ৯টি, বোড়াগাড়ী ইউনিয়নে ১৩টি, ডোমার সদর ইউনিয়নে ৯টি সোনারায় ইউনিয়নে ১২টি ও হরিণচড়া ইউনিয়নে ৯টি মণ্ডব রয়েছে।
ডোমার উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক অমরজিৎ সিংহ জানান, দুর্গাপূজায় আমরা সবচেয়ে বেশি আনন্দ করি। তবে পূজা বিশৃঙ্খলার আশংকাও থাকে আমাদের মধ্যে। এবার ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাদের সকল ইউনিয়নের ও উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক ছাড়াও হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের সাথে একাধিক বৈঠক করে। তিনি আরো জানান, কোন বিশৃঙ্খলা ছাড়াই আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উৎযাপন করতে তিনি সকলের পরামর্শ নেন এবং সকল পুজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন। এটা খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এবার শারদীয় উৎসবে আমাদের আর কোন আশংকা থাকবে না। এতে আনন্দ উৎসব অনেক ভালো হবে।
পৌরসভার কলেজ পাড়া এলাকার শুভ ভোমিক বলেন, এবার প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। এটা খুব ভালো উদ্যোগ। এবার আমরা হিন্দু ধর্মালম্বীরা একটু বেশি আনন্দ করবো। ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী জানান, আমি উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত সকল হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের সাথে একাধিক বার বৈঠক করেছি। সবার পরামর্শ নিয়েছি।  তারা সবাই অনেক আন্তরিকতার সাথে পুলিশকে সহোযোগিতা করেছে।  শেষ পর্যন্ত সকল পূজা মণ্ডপের জন্য স্মার্ট সিসি ক্যামেরা ব্যবস্থা হয়ে গেছে। কিছু মণ্ডবে বিতরণও করেছি। বাকিগুলোতে ২/৩ দিনের মধ্যে বিতরণ শেষ হবে।
তিনি আরো জানান, সিসি ক্যামেরাগুলো সর্বক্ষনিক মনিটরিং করবে পুলিশের একটি দল। এমনকি মোবাইল ফোনেও এ সিসি ক্যামেরাগুলো মনিটরিং করা যাবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা সম্পূর্ণ করতে পুলিশ সচেষ্ট থাকবে।

Loading

error: Content is protected !!