হোম » সারাদেশ » বগুড়ায় ইউএনওর বিরুদ্ধে নৈশপ্রহরীকে পেটানোর অভিযোগ 

বগুড়ায় ইউএনওর বিরুদ্ধে নৈশপ্রহরীকে পেটানোর অভিযোগ 

এম,এ রাশেদ,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর পালের বিরুদ্ধে প্রকৌশলী কার্যালয়ের নৈশপ্রহরীকে লাঠি দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের মাটিডালী সদর উপজেলা পরিষদে এঘটনা ঘটে। আহত আলমগীর বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মারধরের শিকার নৈশপ্রহরী আলমগীর হোসেন শেখ (৪৫) সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের চকশিয়ালকোল এলাকার বাসিন্দা।
নৈশপ্রহরী আলমগীরের মেয়ে লোপা ও জামাই মাসুদ জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে অফিসে আসেন আলমগীর। তারপর তাকে মাগরিব নামাজের পর নিজ অফিসে ডেকে নিয়ে ইউএনও মারধর করেন। মারধর করার সময় আমাদের ফোন দিয়ে জানালে আমরা দ্রুত মাঝিরা থেকে উপজেলা পরিষদে উপস্থিত হই। উপস্থিত হওয়ার পর দেখেন তার বাবাকে মারধর করা হয়েছে। তারা আরও জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর পালের সঙ্গে তারা কথা বলার চেষ্টা করলে আনসার সদস্যরা কাছে যেতে দেয়নি তাদের।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি আহত আলমগীর হোসেন শেখ বলেন, আমাকে ইউএনও স্যার ডেকে নিয়ে গিয়ে তার কক্ষে লাঠি দিয়ে মেরেছেন। এসময় আমাকে দু’জন আনসার সদস্য ধরে রেখেছিলেন। আমি তার কাছে বিনীত অনুরোধ জানালেও আমাকে মারপিট করেন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমার বামহাত ভেঙে গেছে। মারার কারণ জানতে চাইলে ইউএনও স্যার বলেন, আমার স্ত্রী ওনার কাছে অভিযোগ দিয়েছে তাকে বাসা নিয়ে থাকতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলার প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ দিয়েছে। এ নিয়ে আমাকে শোকজও করা হয়েছে। আমি তার জবাব দিয়েছি। আজ আবার সেই বিষয়টি নিয়ে মারপিট করা হয়েছে আমাকে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক বলেন, আলমগীর প্রকৌশলী অফিসের নাইটগার্ড। আমি বাইরে ছিলাম, উপজেলা পরিষদে এসে দেখি সে গেটের সামনে পড়ে আছে। তাকে মারধর কে করেছে জানি না। পরে তাকে গাড়িতে করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাই। আলমগীর হোসেনকে মারপিটের বিষয়ে উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সমর পালের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আলমগীরকে মারপিট করা হয়নি। বেশকিছুদিন হলে তার স্ত্রীকে নিয়ে ঝামেলা চলছে। ঝামেলা মিটিয়ে তারপর অফিসে আসার জন্য বলা হয় এবং তাকে পরিষদ থেকে বের হতে বলা হয়। সে বাহিরে গিয়ে নাটক সাজিয়েছে। একটি চক্র তার বিরুদ্ধে এসব করছে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের নৈশপ্রহরীকে মারপিটের বিষয়টি তিনি জানেন না। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
error: Content is protected !!