হোম » সারাদেশ » ভূয়াপুরে ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় লাঞ্ছিত মাদরাসার সুপার

ভূয়াপুরে ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় লাঞ্ছিত মাদরাসার সুপার

মোঃ মোশারফ হোসেন: টাঙ্গাইলের ভূয়াপুরে মাদরাসার ছাত্রীদের ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ার জেরে সুপারকে লাঞ্ছিত ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান (৪২) । গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার অর্জুনা দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন বিকালে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নামে ভূয়াাপুর থানায় অভিযোগ করেছে সুপার সাইদুর রহমান।

অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার কুঠিবয়ড়া গ্রামের সেলিম খান (৩৫), তার স্ত্রী নাহার খানম (৪০) ও তাদের দুই ছেলে নাঈম খান (১৮), নাহিদ ওরফে সুলতান খান (২২), বাদলের ছেলে রিমন খান (১৬) এবং গোলাম মোস্তফার ছেলে মাহিম (১৬) সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় মাহিম ও রিমন নামে দুই বখাটে গত বৃহস্পতিবার সকালে তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে মাদরাসায় সাইকেল নিয়ে প্রবেশ করে ছাত্রীদের ইভটিজিং করতে থাকে।

এ সময় সুপার সাইদুর রহমান মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সাবেক অভিভাবক সদস্য কাশেম আলীকে সঙ্গে নিয়ে বখাটে ওই দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে উত্তর না দিয়ে সাইকেল রেখে চলে যায় তারা। কিছু সময় পরে দুই বখাটের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত সেলিম খান, তার স্ত্রী নাহার খানম ও তাদের দুই ছেলে নাঈম খান এবং নাহিদ ওরফে সুলতান খান এবং আরেকজন অভিযুক্ত বাদলের ছেলে রিমন মাদরাসার প্রবেশ করে অফিস ভাঙচুর ও শিক্ষক সাইদুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং লাঞ্ছিতসহ মারধর করে।

একই সময়ে সুপার সাইদুর রহমানের মোটরসাইকেলসহ হেলমেট ভাঙচুর করে রিমন। মাদরাসার অন্যান্য সহকারী শিক্ষকরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভূয়াপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন বহিরাগত এসব বখাটেরা দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসার ছাত্রীদের রাস্তা-ঘাটে ও মাদরাসায় ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন সময় ইভটিজিং করত। এনিয়ে বেশ কয়েকবার তাদের নিষেধ করা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই বখাটেরা মাদরাসায় প্রবেশ করে ইভটিজিং করছিল।

এ বিষয়ে গত শুক্রবার বিকালে ভূয়াপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান সুপার লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Loading

error: Content is protected !!