হোম » সারাদেশ » যশোরে ভ্রাম্যমাণ দোকানের আবির্ভাব, পাওয়া যাচ্ছে স্বল্পমূল্যে পছন্দের পোশাক

যশোরে ভ্রাম্যমাণ দোকানের আবির্ভাব, পাওয়া যাচ্ছে স্বল্পমূল্যে পছন্দের পোশাক

এস আর নিরব যশোরঃ যশোরে ভ্রাম্যমাণ এক দোকানের আবির্ভাব হয়েছে। পাওয়া স্বল্পমূল্যে সকল বয়সী মানুষের পছন্দের পোশাক ও জুতা।হাতের কাছে স্বাধ আর সাধ্যের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ দোকানে নিজেদের পছন্দের জিনিস পেয়ে বেজায় খুশি ক্রেতারা। ইঞ্জিনচালিত জিহাদুল ইসলাম জিহাদের আলমসাধুর ওপর বিশেষভাবে নির্মিত দোকানের থরে থরে সাজানো তাকে শোভা পাচ্ছে মেয়েদের শাড়ী, থ্রি-পিচ, পুরুষের লুঙ্গী-পাঞ্জাবী আর ছোটদের পোষাকসহ সব বয়সীদের জুতা-স্যান্ডেল। তবে, লক্ষনীয় ব্যাপার হলো দোকানে নারী আর শিশুদের ভীড়ই বেশি। হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে এ যেন বাজারের কোনো ঘরে পোষাকের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানি।
‘এই মা-বোনেরা আপনাদের পছন্দের শাড়ী, থ্রি-পিচ, স্যান্ডেল এসে গেছে,ভাই-বাবাদের লুঙ্গী-পাঞ্জাবী আর সোনামনিদের সব ধরনের পোশাক। দেরি না করেই এক্ষুণি চলে আসেন দোকানে।’ যশোরের মণিরামপুরের দ্বীপ গ্রাম ঝাঁপায় এ ভ্রাম্যমাণ দোকানি জিহাদ এভাবে মাইকে হাক দিতেই মুহুর্তের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ছুটে আসেন দোকানে। গ্রাম্য নারীরা নিজের পছন্দের শাড়ী কিংবা থ্রি-পিচ হাতে নিয়ে দোকানির সাথে দর কষা-কষি করছেন। দর-দামে পটে গেলেই কিনে নিচ্ছেন তারা। হঠাৎ করে বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি ইঞ্জিনচালিত আলমসাধুর ওপর তৈরীকৃত দোকান। এটি এমনভাবে বানানো হয়েছে দূর থেকে যে কেউ দেখলে মনে করবেন বাজারের কোনো দোকান। উপজেলার ঝাঁপা গ্রামে নারীদের জটলা দেখে কাছে এগিয়ে যেতেই চোখে মেলে এ দোকান।
এসময় কিনতে আসা পলি খাতুন বলেন, রোজার মাসে ঝাঁপা ভ্রাম্যমাণ ব্রীজ পার হয়ে ভীড় ঠেলে দোকানে কিনতে হয়। কিন্তু এখানে সেই একই পোষাক যতক্ষণ ইচ্ছা দেখে পছন্দ করে নেয়া যাচ্ছে। সেলিনা বেগম নামের আর এক নারী ক্রেতা বলেন, পছন্দের পোষাকটি কিনতে টাকা কম পড়লেও সমস্যা নেই। দুই/একদিন বাকি রেখেই কেনা যাচ্ছে। রাশিদা বেগম বলেন, মার্কেটে যে কোনো পোশাক হাজারে নিচেয় দাম ধরে না। আর সেই পোশাকিই এই ভ্রাম্যমাণ দোকানে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা মধ্যে কিনতে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে,দোকানি জিহাদ হাসান বলেন, তার ভ্রাম্যমাণ দোকানে ভালই বিক্রি হয়। মার্কেটে চেয়ে এখানে কম দামে কিনতে পারে ক্রেতারা। এছাড়া বাজারে যেয়ে কেনাকাটার করার কষ্ট লাঘব ও যাওয়া আসার ভাড়াও (টাকা) বেচে যায়। এজন্য গ্রামের মানুষের আগ্রহ থাকে এখান থেকে কেনাকাটা করার। অন্যদিকে টাকা না থাকলে বাকিতেও কাপড় বিক্রি করি।
error: Content is protected !!