হোম » সারাদেশ » বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের কাজে কোটি টাকা আত্মসাৎ

বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের কাজে কোটি টাকা আত্মসাৎ

এম,এ রাশেদ,বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দের পরও নিম্নমানের কাজ বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফর্মের উন্নয়ন কাজের নামে চলছে পুকুর চুরি। লক্ষ লক্ষ টাকা ফাঁকি দিয়ে সিমেন্ট না দিয়েই চলছে রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের উন্নয়ন কাজ আর এই কাজ করছেন এস এস ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার দোষ চাপাচ্ছেন রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ারদের ওপর। কাজের ধরন দেখে মনে হচ্ছে বগুড়া রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ার যেন দেখেও না দেখার ভান করছে।

গত শনিবার যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে গেলে প্ল্যাটফর্মের নিম্নমানের কাজ চোখে পরে। বিপুল পরিমাণ অর্থ যেনতেনভাবে প্লাটফর্মে সংস্কারের কাজ দেখে যাত্রীরা এবং স্টেশনে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারীরা মানতে পারছেন না। এমনকি তদারকি কর্তৃপক্ষের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। এতে যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে স্টেশনে প্ল্যাটফর্মের আগের অংশগুলো না ভেঙ্গেই সেটির ওপর রাবিশ বালু ফেলে লেবেল করা হচ্ছে। স্থানীয়রা চোখের সামনে এভাবে খুবই নিম্মমানের উপকরণ ব্যবহারের প্রতিবাদ করছেন।

কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কারও কথাই কানে তুলছেন না। শনিবার বিকালে সরেজমিন দেখা যায়, নিম্নমানের ইট বালু ও নামমাত্র সিমেন্ট দিয়ে প্ল্যাটফর্মের কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্ল্যাটফর্মের উন্নয়নমূলক কাজের কথা বলে দায়সারা গোছের সংস্কারকাজ হচ্ছে। আমরা কয়েকবার স্টেশনের কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে তারা জানাই এই কাজের জন্য নিদিষ্ট বিভাগ আছে তারাই দেখাশোনা করছে তবে অজ্ঞাত কারণে দায়িত্বপ্রাপ্তরা দেখেও না দেখার ভান করছেন।

বগুড়া রেলওয়ের আই ডব্লিউ আসলাম হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি লালমনিরহাটে মিটিং এ আছি সেখানে সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা আপনারা দেখেন তারপর সে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি এই কমিটিতে আছি কিন্তু কাজের সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। বগুড়া রেলওয়ে প্লাটফর্ম এর উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার জানান, রেলের ইঞ্জিনিয়ার স্যারের মৌখিক কথার ভিত্তিতে আমি কাজ করছি যা জানার আপনারা রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ারদের কাছ থেকে জেনে নেন।

শনিবারে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে পরের দিন রবিবার দুপুরে লালমনিরহাট থেকে ডি ই এন আহসান হাবিব ও ডি এম ই মোঃ শাহিনুর রহমান কাজের অগ্রগতি বা গুনগতমান পরিদর্শন করতে আসলে তাদের কাছেও নিম্নমানের কাজ এবং অনিয়ম ধরা পরে। তখন ডি ই এন আহসান হাবিবের কাছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যান।

error: Content is protected !!