হোম » সারাদেশ » বগুড়ায় নদীভাঙন রোধে নির্মিত স্পার কেটে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব                        

বগুড়ায় নদীভাঙন রোধে নির্মিত স্পার কেটে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব                        

এম,এ রাশেদ,বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর বন্যা মোকাবেলায় নির্মিত স্পারের পাশ থেকে প্রভাশালীরা প্রভাব খাটিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। বালু উত্তোলনের পর নদী ভাঙন রোধে নির্মিত স্পারের সংযোগ সড়ক কেটে ওই বালু বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হচ্ছে। এলাকাবাসী বালু উত্তোলনে বাঁধা দিয়েও কোনও কাজ হয়নি। প্রভাবশালীরা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে দিন দিন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন্যা মোকাবেলায় ও নদী ভাঙন রোধে নির্মিত স্পার।
জানা যায়, যমুনা নদী ভাঙনের কবল হতে রক্ষা পেতে সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নে হাসনাপাড়া বাজারের সামনে ১০ কোটি ১৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫৫৮ মিটার স্পার নির্মাণ করা হয়েছিল ২০০২ সালে। এ ইউনিয়নের নিজবলাইল বাজারের সামনেও একই সঙ্গে একই ধরনের আরও একটি স্পার নির্মাণ করা হয় একই বছরে। বন্যা মোকাবেলায় ও নদী ভাঙন রোধে স্পারগুলো নির্মাণ করা হলেও কিছু প্রভাবশালী এই স্পারের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। স্পারগুলোর কাছ থেকে বালু উত্তোলনে মাটি দেবে গিয়ে ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে এসব স্পার। স্পারগুলোর নিকট হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীরা।
স্পার দুটির একাংশের সিসি ব্লকগুলো উল্টে ফেলে স্পার কেটে তারা তৈরি করেছেন বালু উত্তোলনের রাস্তা। এদিকে স্পার কেটে বালু উত্তোলন করায় স্পারের সংযোগ সড়কে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা জমির মাটিও কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কিছু বলতে গেলে তারা বিভিন্নভাবে ভয় দেখায়। তাদের ভয়ে কোনও অভিযোগও করা যাচ্ছে না।  স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদী ভাঙনে আমাদের জমাজমি ভেঙে যাওয়ায় ভিটেমাটি হারিয়ে আমরা বেঁড়িবাধের উপর আশ্রয় নিয়েছি। সেই বাঁধের উপর দিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত বালু নিয়ে ট্রলি চলাচল করে। এতে রাতে আমাদের ঘুমও হয় না।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটশেরপুর ইউপির চেয়ারম্যান নূর মেহেদী হাসান আলো বলেন, বালু না তুলতে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। তারপরও যদি বালু উত্তোলন করে তাহলে প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে হবে। সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ওই স্পার পয়েন্টে মাঝে মাঝেই অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়। শিগগিরই সেখানে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে।
error: Content is protected !!