দাগনভূঞা উপজেলা প্রতিনিধিঃ দাগনভূঞা পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনের সামনে নয়নজলা (ড্রেন) এর মধ্যে বিভিন্ন বাসাবাড়ি, দোকানপাট, চা দোকান থেকে শুরু করে সবাই যত্রতত্র ফেলছে পলিথিন আর পলিথিন। এমন কোন স্থান নেই যেখানে পাওয়া যাবে না পলিথিন। এমতাবস্থায় বিভিন্ন ড্রেনেজ ব্যাবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিস্কাশন। জানা যায়, বৃষ্টি হলেই দাশপাড়া, ফাজিলেরঘাট রোড়, বাংলা বাজার রোড়, বসুরহাট রোড়, ফেনী রোড়, চৌমুহনী রোড়সহ বিভিন্ন রোড়ে পানি উঠে জনচলাচলে মারাত্নক ভোগান্তি হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে ড্রেনেজ ব্যাবস্থার প্রতিবন্ধকতার কারণে। বেশীরভাগ ড্রেনে ভরাট পলিথিন। বাসাবাড়ির পানি জমে দূর্ঘন্ধ ছড়াচ্ছে আশপাশে। শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন ভূগছেন অসুখ জনিত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। আবার ছোট ড্রেনের উপর অনেকেই রেখেছেন দোকানের মালামাল। কেউ কেউ অনেকটা দখলে নিয়েছেন ভাঙ্গাচোরা মাল বিক্রির প্রয়োজনে। যার যেমন খুশী তেমনি ব্যাবহার করছেন ফেনী রোড়স্থ উপজেলা পরিষদের সামনে নয়নজলা ড্রেন। কয়েকটন পলিথিন এ ড্রেনেজ পরিস্কার করতে পাওয়া যাবে বলে জানান স্থানীয়রা। ২০২১ সালে পৌর শহরে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে উপজেলা নির্বাহি অফিসার নাহিদা আক্তার তানিয়া স্ব উদ্যোগে বিভিন্ন বাধ, অবৈধ কালভার্ট ভেঙ্গে করেছেন পানি নিস্কাশন ব্যাবস্থা।
পলিথিন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর’ এ ব্যাপারে কম-বেশি সবারই জানা। তবে আমরা এ ব্যাপারে এখনও পুরোপুরি সচেতন নয়। দেশে প্রায় ২০ বছর আগে আইন করে নিষিদ্ধ হওয়ার পর এখনও পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধ হয়নি। অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে পলিথিন। পলিথিন ছাড়া পণ্য বহন করা মোটেই সম্ভব নয় বর্তমান পেক্ষাপটে। মাটিতে পানি ও প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানের চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করে। পলিথিন কৃষি জমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পলিথিন মাটির অভ্যন্তরে চলে যাওয়ায় মাটিতে থাকা অণুজীবগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে না। মাটির নিচে পানি চলাচলেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, পলিথিনই একমাত্র বস্তু, পণ্য বহন বা প্যাকেটজাত করা ছাড়া এর আর কোনো উপকারিতা নেই। বিপরীতে রয়েছে অসংখ্য ক্ষতিকর প্রভাব। এমনকি পলিথিনই একমাত্র বস্তু, যার দ্বারা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে একটি দেশ। এমন মন্তব্য করেন দাগনভূঞা ইকবাল মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুর রহিম।
এ বিষয়ে দাগনভূঞা পৌর ভারপ্রাপ্ত মেয়র নুরুল হুদা সেলিম জানান, বিভিন্ন ড্রেনেজ নির্মাণ ও পানি ব্যাবস্থাপনার কাজ চলমান রয়েছে। সব লিংকরোড়ে ড্রেনগুলোকে অচিরেই পরিস্কার করে পানি নিস্কাশনের ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। পলিথিন ড্রেনে না ফেলানোর জন্য পৌরবাসিকে সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
বগুড়ায় স্টাডি কেয়ারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়ে ছাই ৫ দোকান আনুমানিক প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি
পীরগঞ্জে বিনামুল্যে সার-বীজ বিতরণ