ভর্তি হওয়ার পর তার ধর্ষণের আলামত নেওয়া হয়েছে। পরে তাকে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য বেডে পাঠানো হয়। পরে ভর্তি হওয়ার প্রায় ১ ঘন্টার মধ্যে রোগী ও তার ফাইল গায়েব হয়ে যায়। এই নিয়ে হাসপাতাল জুড়ে চলছে নানা গুঞ্জুন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুন এক নার্স বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী ও হাসপাতালের এক ডাক্তারের আত্মীয় হওয়ায় কৌশলে ধর্ষণের রোগী ও ফাইলটি অন্যত্র সড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এই বিষয়ে গাইনী ওয়ার্ডের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স নাজমুন নাহার বলেন, রোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। এসময় তার কাছে ফাইল ও রোগী কোথায় রয়েছে জানতে চাইলে তিনি ডাঃ আফরোজার সাথে যোগাযোগ করে। তিনি বলতে পারবে ফাইল এবং রোগি কোথায়। ডাঃ আফরোজা বলেন, আমি রোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছি। পরে তার আলমত নেওয়া হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বেডে পাঠানো হয়েছে। এর বেশি আমি কিছুই জানিনা। ফাইল ও রোগীর বিষয়টি আমার জানা নেই।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল থেকে রোগী ও ফাইল গায়েব হয়েছে শুনেছি। নতুন করে ফাইল তৈরী করা হচ্ছে। রোগীর ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ রাম পদ রায় জানান, এই বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনি হাসপাতালের তত্বাবধায়কের সাথে কথা বলেন।
আরও পড়ুন
সারাদেশের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি
ভেড়ামারায় ভূমি ও সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান
অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নে জামালপুরে পবিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি