হোম » সারাদেশ » ঠাকুরগাঁওয়ে দার্জিলিং জাতের কমলা বাগান করে লাভবান হয়েছেন কৃষক-  জুয়েল

ঠাকুরগাঁওয়ে দার্জিলিং জাতের কমলা বাগান করে লাভবান হয়েছেন কৃষক-  জুয়েল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলায় দার্জিলিং জাতের কমলা বাগান করে লাভবান হয়েছেন কৃষক আবু জাহিদ ইবনুল ইরাম জুয়েল।বাগানেই বিক্রি হচ্ছে দার্জিলিং জাতের কমলা, দর্শনার্থীর ভিড় বাগানের প্রতিটি গাছে ফল ধরেছে প্রচুর। দর্শনার্থীদের অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ফলবাগান পরিদর্শনের  জন্য দর্শনার্থীদের কাছ থেকে টিকিট 20 টাকা প্রবেশ ফি  নেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় জাতের এ ফল মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে চাহিদাও রয়েছে। এছাড়াও বাগানটি দেখার জন্য প্রতিদিন  দর্শনার্থীদের ভিড় করছেন। ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলার ২নং কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামের আবু জাহিদ ইবনুল ইরাম জুয়েল নামে এক কৃষক দশ বছর আগে হর্টিকালচার থেকে হাতে গোনা কয়েকটি চারা ক্রয় করে জমিতে রোপন করেন।
এবং দুই বছরের মাথায়  ফল হওয়ায় বাগানের পরিধি বাড়ায়। এখন বাগানে প্রায় তিন শর  মত দার্জিলিং জাতের কমলা গাছ রয়েছে।  উৎপাদিত বাগানের এসব ফল  বাগানে এবং স্থানীয় বাজারে দুই শত পঞ্চাশ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করা হচ্ছে। এবং  আজ শনিবার থেকে দর্শনার্থীদের  কমলা বাগানে প্রবেশের জন্য ২০ টাকা করে টিকিটের মূল্য নিচ্ছেন।
  বাগানের প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে ভারতীয় দার্জিলিং জাতের কমলা। নভেম্বর মাস থেকে বাগানের উৎপাদিত কমলা বিক্রি করতে শুরু করেছে বাগান মালিক জুয়েল।বর্তমানে প্রায় তিনশতাধিক গাছের এই বাগানের প্রতিটিতে গাছে চার থেকে পাঁচশত কমলা ধরেছে। বাগানেই চলছে ফল বিক্রি কার্যক্রম। উৎপাদিত কমলা ক্রয়ে বাগানেই ছুটে আসছেন দূর দূরান্তের ব্যবসায়ী এবং দর্শনার্থীরা।
সেখান থেকেই প্রতি কেজি কমলা বিক্রি করছেন দুই শত পঞ্চাশ টাকা কেজি দরে গতকাল শুক্রবার দুইশত টাকা কেজি দরে বিক্রয় করছিলেন দর্শনার্থীদের চাহিদার কারণে আজ শনিবার দুইশত পঞ্চাশ টাকা কেজি দরে কমলা বিক্রয় করছেন। একই প্লটে উৎপাদন করছেন চারা। সীমান্ত এলাকায় ফল বাগান গড়ে উঠায়  এলাকায় কর্মসংস্থানের পাশাপাশি  অন্যান্য কৃষকেরাও উদ্ভুদ্ধ হয়ে  পরামর্শ নিচ্ছেন।বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী মাসুদ বলেন, ‘শহর থেকে এসেছি কমলা বাগান দেখতে। এখানকার  দার্জিলিং জাতের কমলা বাগানের সুন্দর পরিবেশ দেখে আমি আবির্ভূত এবং মুগ্ধ হয়েছি। আর এই কমলা অনেক মিষ্টি।  ‘
আরেক দর্শনার্থী মাহমুদ জানান পরিবারসহ কমলা বাগান দেখতে এসেছি। আগে কমলা বাগান শুধু ছবিতেই দেখেছি। আজ বাস্তবে গাছে ঝুলন্ত কমলা দেখলাম। আর পুরো বাগানে কমলা ঝুলে রয়েছে। দেখতেই অনেক সুন্দর লাগছে। কেউ কেউ গাছের কমলায় হাত দিয়ে স্পর্শ করে সেলফি তুলছেন।  এই কমলা অনেক মিষ্টি ও রসালো কমলা। এই কমলা খেয়ে মনে হল না যে আমার দেশের মাটিতে উৎপাদিত কমলা খাচ্ছি।
পরিবারের সকলে খুশি এমন কমলা বাগান দেখতে এসে।’কমলা বাগানে কাজ করেন এমন একজন নরেন মোহন তিনি জানান, বাগানের প্রথম থেকেই কাজ করেন। এখন প্রতিদিন শত শত মানুষ আসে এই বাগান দেখতে। আমরা বাগানে ছয় সাত জন এখন কাজ করতেছি। কমলা গাছ থেকে পারার জন্য ৩/৪ জন কে কাজ করতে হয়।’দার্জিলিং জাতের কমলার বাগানের মালিক আবু জাহিদ ইবনুল ইরাম জুয়েল বলেন, ‘এই বাগান থেকেই এবার দশ হাজার মেট্রিকটন কমলা উৎপাদন হবে আশা করছি। আমি নিজেও এই বাগান পরিচর্যা করি  আমার বাগানের বয়স প্রায় ১০ বছর। পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত এই বাগানে কমলা ফল উৎপাদিত হবে বলে তিনি জানান। তিন বছর পর থেকেই ফলন আসা শুরু হয়েছে।
এর আগে আমি ফল পাইকারি বিক্রয় করে দিতাম। এবার সোস্যাল মিডিয়ার কারণে বাগানটি ভাইরাল হয়েছে। সেজন্য প্রতিদিন শত শত মানুষ এই বাগান দেখতে আসছে। তবে কৃষকরা যদি এভাবে কমলার বাগান করতে এগিয়ে আসে তাহলে কৃষিতে একটা বিপ্লব ঘটবে। আর কমলা দেশের বাহির থেকে আনতে হবে না এবং কিছুটা হলে ও ভিটামিন সি’র চাহিদা পূরণ হবে বলে  আমি মনে করি।
error: Content is protected !!