আব্দুল কাদের নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ যে বয়সে পরিবার পরিজনকে সাথে নিয়ে আনন্দের সময় কাটানোর কথা, সে সময়ে নিদারুন এক কষ্টের মধ্যে সময় পার করছেন ৮০ বছর বয়সের রয়িচ উদ্দিন নামে এক বৃদ্ধ ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগম। একটি চৌকি, মশারি, ওযুর বদনা, থালা, গ্লাস, জগ আর গায়ের পোশাক হচ্ছে তাদের সহায় সম্বল।
এই নিয়ে বৃদ্ধ দম্পতির ঠাঁই হয়েছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহামুদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত কুড়ে ঘরে । কখনো খেয়ে আবার কখনো না খেয়ে এবং জীর্ণশীর্ণ শরীরে গত কয়েক বছর ধরে এভাবেই দিন কাটছে তাদের। এক জনের বয়স্ক ভাতা কার্ড থাকলেও সরকারিবান্ধব ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড তাদের কপালে জোটেনি। এখন পর্যন্ত মেলেনি সরকারি ঘর। বাকি জীবনের জন্য সরকারি ও ভিত্তশালীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম ফতেপুর এলাকার মৃত হেবাজ উদ্দিনের ছেলে রয়িচ উদ্দিন । একসময়ে বাসায় মুড়ি, মোয়া,পাপর বানিয়ে তা বিক্রি করে চলত তাদের সংসার। খেয়ে পড়ে ভালই ছিলেন। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসের শিকার এই বৃদ্ধ দম্পতি। মেয়েদের লালন পালন করে বিয়ে দিতে গিয়ে বিক্রি করেছেন বসতবাড়ি ও ভিটা মাটি। রয়িচ উদ্দিনের দুই মেয়ে থাকলেও কেউ আজ পাশে নেই। শরীরে নানা অসুখ বিসুখ দানা বাঁধলেও সে কথা জিঞ্জেস করার মতো কেউ আর নেই। শেষ জীবনের শেষ সময়ে দুঃসহ এক স্ত্রীই জীবন সাথী হয়েছে এই বৃদ্ধার।
রয়িচ উদ্দিন জানান,১ বছর আগে অসুস্থ হয়ে পরলে তখন থেকেই কখনো এক বেলা কখনো দু বেলা আবার কখনো পানি খেয়েই দিন পার হয় তাদের ।এলাকাবাসীর কেউ চাল-ডাল দিলে তবেই তাদের চুলায় আগুন জ্বলে। সরকারি সহযোগিতা তাদের খুব প্রয়োজন। এছাড়াও বিত্তশালীদের কোনো আর্থিক সহযোগিতা পেলে গ্রামে একটি দোকান করে মোটামোটি চলতে পারবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন
সকালের ট্রেন ছাড়েনি দুপুরেও, কমলাপুরে ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়
ঠাকুরগাঁওয়ে নারী প্রশীক্ষণার্থীদের মাঝে চেক বিতরণ
শেরপুরের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করে নবাগত পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন