হোম » সারাদেশ » চাটখিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় উতসাহ উদ্দীপনায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

চাটখিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় উতসাহ উদ্দীপনায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

মনির হোসেন (চাটখিল উপজেলা প্রতিনিধি): এ যেন এক নতুন প্রান। উতসাহ উউদ্দীপনায় মুখরিত হয়ে প্রান ফিরে এসেছে প্রানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সারাদেশ ন্যায় নোয়াখালী চাটখিলেও দীর্ঘ ৫৪৩ দিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় আনন্দ উল্লাসে মুখরিত হয়ে ওঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারি সিদ্বান্ত অনুসারে আজ (১২ই সেপ্টেম্বর) রবিবার সকালে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা উৎসব মুখর পরিবেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে হাজির হন। এসময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ফুলের শুভেচ্ছা জানান।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের পুর্বে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে ভিতরে প্রবেশ করানো হয়। হাত ধোয়া সহ মাস্ক বিতরন করা হয় শিক্ষার্থীদের। প্রতিটি ক্লাসে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে তাদের বসানো হয়। এদিকে দীর্ঘদিন পর উপজেলার দশঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। দীর্ঘ দিন পরে প্রিয় বিদ্যাপীঠে ক্লাসে ফিরে আমরা নতুন জীবন ফিরে পেলাম বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
 উপজেলা সহকারী-মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানান, আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ১ম দিনেই অনেকগুলো স্কুল পরিদর্শন করেছে সকাল বেলায় পরকোট দশঘরিয়া ও ভীমপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি, শিক্ষার্থীদের উপস্থিত প্রায়  ৮০%  ছিলো যে সকল বিদ্যালয়ে ৭০%  ছিলো তাদের ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।
এছাড়াও  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সরকারের দিক নির্দেশনাগুলো এর আগে আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের সাথে মিটিং করে দিক নির্দেশনাগুলো প্রদর্শন করেছি। মাস্ক হ্যান্ড স্যানেটাইজার ব্যবহার সামাজিক দূরত্ব ব্যাপারেও তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।স্বাস্থ্য বিধি মেনে সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে পাঠদান কার্যক্রম আনন্দগন ও মনোরোম পরিবেশে পরিচালিত হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গেল বছরের মার্চ থেকে এ বছরের সেপ্টেম্বর। টানা ১ বছর ৫ মাস ২৬ দিন পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলেছে সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন পর সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত হয়ে ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছর দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাই কেউ কারোর সাথে দেখা সাক্ষাৎ ও যোগাযোগ না থাকায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে শিক্ষার্থীরা আবেগ-আপ্লিত হয়ে পড়েছে । উৎসবমুখর পরিবেশ ফিরেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
error: Content is protected !!