হোম » সারাদেশ » ঝালকাঠিতে ডাকাতি ছাড়ার ঘোষণা দেয়ার পর নৃশংস হামলার স্বীকার যুবক

ঝালকাঠিতে ডাকাতি ছাড়ার ঘোষণা দেয়ার পর নৃশংস হামলার স্বীকার যুবক

হাফিজা ইসলাম পিংকী, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে ডাকাতি ছেড়ে দিয়ে সুস্থ জীবনে ফিরে আসার এক বছর না যেতেই দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন আবুল হোসেন ওরফে আবু তালুকদার (৩২) নামে এক যুবক। উপজেলার সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত নৈকাঠী এলাকায় রাতের আঁধারে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে তাকে। রবিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠী বিড়ালজুড়ি ষ্টিল ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আবুল হোসেন তালুকদার ও এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আনসার আলী তালুকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। হামলায় আবুলের এক হাত ও দুই পা শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে সোমবার সকালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সবশেষ ২০২০ সালের আগস্ট মাসে আবুকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। সেই মামলায় জামিনে বেরিয়ে ‘ডাকাত’ নাম ঘোঁচাতে ও সুস্থ জীবনে ফেরার আশায় পুলিশের সহায়তা চান। এরপর চলতি বছরের ১৫ই জানুয়ারী রাজাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সুস্থ জীবনে ফিরে আসার জন্য অঙ্গীকার করেন।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জেল থেকে বের হয়ে ডাকাতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন আবুল। এরপর গ্রামে কৃষিকাজ করতেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও তাকে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি আরো বলেন, বিড়ালঝুড়ি এলাকার লোকজন রবিবার রাতে থানায় খবর দেয় যে, সেতুর কাছে এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরে আজ সোমবার ভোরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এই হামলার ঘটনার বিষয়ে কোনো অভিযোগ এখনও থানায় কেউ করেনি বলে জানান ওসি। তিনি জানান, কী কারণে হামলা তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আবুল রাতে ওই এলাকায় কেন গিয়েছিলেন তাও জানা যায়নি। অভিযোগ না পেলেও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
উল্লেখ‌্য, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি রাজাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আবুল হোসেন তার লিখিত বক্তব‌্যে জানিয়েছিলেন, স্ত্রী-সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ডাকাতি ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন। এবং কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে চান। সাম্প্রতিক নৈকাঠী এলাকায় মহা সড়কে গনপরিবহনের সকল কাউন্টার নিয়ন্ত্রণ করতেন ঐ আবু তালুকদার।
error: Content is protected !!