হোম » সারাদেশ » রেমালের প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা লন্ড ভন্ড : আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করছে  মানুষ 

রেমালের প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা লন্ড ভন্ড : আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করছে  মানুষ 

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাগর এখনো উত্তাল রয়েছে। রোববার (২৬ মে) রাতের জোয়ারে কক্সবাজারের ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাতে যারা কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিল তারা সোমবার (২৭ মে) সকালে নিজ বাড়ি ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
এদিকে রোববার রাত ১২ টার পর থেকে সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত কক্সবাজারের উপর দিয়ে দমকা ও টানা ঝড়ো হওয়া বয়ে গেছে। জেলার মহেশখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। লোকালয়ে প্রবেশ করেছে লবণ পানি। সাগরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন চার ফুট বৃদ্ধি পেয়ে সোমবারও কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু এলাকায় গাছপালা  কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মহেশখালী,কুতুবদিয়া ও সেন্টমার্টিন কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ সময় জোয়ারের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক শ কাঁচা ঘরবাড়ি। আগাম প্রস্তুতির কারণে প্রাণহানি না হলেও জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে গবাদি পশু, মাছের ঘের ও ফসলি ক্ষেত। বাড়িঘর ও জনপদ ভাসছে নোনাপানিতে। ঝড়ের সময় উপড়ে গেছে গাছপালা। বিচ্ছিন্ন হয়েছে গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ। বিঘ্নিত হয়েছে মোবাইল ফোন-ইন্টারনেট সেবা। বিভিন্ন এলাকায় সড়কে গাছ পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানান, ২৪ ঘন্টায় ৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
কক্সবাজারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে সদর উপজেলার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরাটেক, কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া, ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর নুনিয়াছটাসহ অন্তত ১৫টি গ্রাম।
কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, রোববার  সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হেনেছে। তবে কক্সবাজার বিপদমুক্ত ছিল। সোমবার আশ্রয় কেন্দ্র থেকে মানুষ বাড়ী ঘরে ফিরেছে।
-মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী-

Loading

error: Content is protected !!