হোম » সারাদেশ » ঘূর্ণিঝড় রেমাল: কক্সবাজারে ৯ নং মহাবিপদ সংকেতে  উপকুলের মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে দিকে যাচ্ছে 

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: কক্সবাজারে ৯ নং মহাবিপদ সংকেতে  উপকুলের মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে দিকে যাচ্ছে 

ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর  প্রভাব পড়া শুরু করেছে কক্সবাজার উপকূলে। সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি সাথে রয়েছে ধমকা হাওয়া জেলা জুড়ে। উত্তাল সমুদ্র। বেড়েছে সাগরের পানির উচ্চতা।
২৬ মে (রবিবার) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় এলাকায় গিয়ে মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নিচ্ছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার রাত বা ভোরে এটি কক্সবাজারে আঘাত হানতে পারে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৯ নং মহাবিপদ সংকেত বলবৎ রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
জেলার লাখ মানুষ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। তাদের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে লোকজনকে ইতোমধ্যে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান।
তিনি জানান, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে। বর্তমান ঘূর্ণিঝড় রেমাল কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল থেকে প্রায় ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে।
সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ঢেউয়ের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে  সমুদ্র সৈকতসহ আশপাশের এলাকায় সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে । আকাশে হালকা মেঘ দেখা গেছে।
জানা গেছে, সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে , ঘূর্ণিঝড় রেমালের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় কক্সবাজারে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, কক্সবাজারের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে অনুরোধ জানাচ্ছে প্রশাসন। কক্সবাজারে ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মহেশখালী, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে শুরু করেছে মানুষ।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সিপিপির ৮৬০০ এবং রেডক্রিসেন্টের ২২০০সহ ১০ হাজার ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৬৩৮টি আশ্রয় কেন্দ্র। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এছাড়া সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৪৮৬ মেট্রিক টন জি আর চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল ১৮ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ২৯ বান্ডিল ঢেউটিন সঙ্গে গৃহ নির্মাণ মজুরি অর্থ ৬৯ হাজার টাকা মজুদ আছে।
– মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী –

Loading

error: Content is protected !!