হোম » সারাদেশ » জামালপুরে মাল্টিপারপাস ব্যবসায়ের নামে প্রতারণার, পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন  

জামালপুরে মাল্টিপারপাস ব্যবসায়ের নামে প্রতারণার, পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন  

রবিউল হাসান লায়ন : জামালপুরে নিউ স্ট্যান্ডার্ড ফিনান্স এন্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি: নতুন করে প্রতারণার ফাঁদ তৈরীর চেষ্টা করছিল। গতকাল ২১ মে তমালতলা মোড় এলাকায় সওদাগর ম্যানশনের দ্বিতীয় তলায় এই প্রতিষ্ঠানটির জেলা শাখার উদ্বোধন ও কর্মীদের যোগদানপত্র প্রদান করার কথা থাকলেও  প্রতিষ্ঠানের শাখা ব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম কৌশলে পালিয়ে যায়। বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য  জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, কিছুদিন পূর্বে থেকে জামালপুরে নিউ স্ট্যান্ডার্ড ফিনান্স এন্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি: শাখা খুলে বিভিন্ন পদে লোকবল নিয়োগ দেয় এবং নিয়োগকৃত প্রত্যেক কর্মীর নিকট থেকে জামানত বাবদ ১ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেয় প্রতারকচক্র এবং প্রত্যেক কর্মীকে ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৩০ লাখ টাকা করে বিতরন করার টার্গেট প্রদান করে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক ঋনগ্রহীতার নিকট হইতে ঋন বিতরনের পূর্বে ঋনগ্রহীতার চাহিদা অনুযায়ী ঋনের ১০% অগ্রীম টাকা এবং ১% সার্ভিস চার্জ প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে জমা করার শর্ত জুড়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মীদের নিয়োগপত্র প্রদান করে প্রতারক চক্র। কিন্তু নিয়োগের কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও কর্মীদের কোন বেতন ভাতা প্রদান করে নাই তারা। এরপর গতকাল ২১ মে উক্ত প্রতিষ্ঠানের জামালপুর শাখা উদ্বোধন এবং কর্মীদের যোগদানপত্র প্রদান করার কথা ছিল কিন্তু ওইদিন সকালে প্রত্যেক কর্মী প্রতিষ্ঠানটির শাখা অফিসে যোগদান করার জন্য এলে শাখা ব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম কর্মীদের অফিসে যোগদান না করিয়ে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এসপি বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে নিউ স্ট্যান্ডার্ড ফিনান্স এন্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ, ঢাকার বনানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শাখা খুলে সাধারন মানুষের নিকট থেকে বিনা জামানতে ঋন প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে অর্থ আত্মসাত করে আসছিলো। জামালপুরেও তারা কর্মীদের মাধ্যমে ঋনগ্রহীতাদের প্রতিশ্রুত ঋণ প্রদান না করে তাহাদের নিকট হইতে জামানতের টাকা আত্মসাত করার পরিকল্পনা করছিলো।
এ বিষয়ে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, বিষয়টি জামালপুর জেলা পুলিশের নজরে আসলে এবং ভোক্তভুগী কর্মীদের নিকট প্রাপ্ত  তথ্যের ভিত্তিতে প্রতারকদের বিরুদ্ধে জামালপুর থানায় পেনাল কোডে মামলা রুজু করা হয় এবং ভোক্তভোগী কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। একই সাথে মামলার মূল আসামীদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

Loading

error: Content is protected !!