এম,এ রাশেদ,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে তীব্র দাবদাহের কারণে মানুষের জীবনে যেমন প্রভাব পড়ছে তেমনি প্রভাব পড়েছে ফসলী জমিতেও। কয়েক দিনের টানা প্রখড় রোদ ও তাপের কারণে কৃষকের মরিচ চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
শুধু মরিচ না কচু, ভুট্টা, কলা, করলা, পটলসহ বিভিন্ন ফসল তীব তাপদাহের কারণে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এবছর উপজেলার মরিচ চাষে লক্ষ্যমাত্রা ১০০ হেক্টর, মুখী কচু ৩৫০ হেক্টর, ১০০ হেক্টর কলা ও ২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়।
গত মঙ্গলবার দূপূরে উপজেলার উথলী, অর্জুনপুর বেড়াবালা, আকন্দ পাড়া, পাইকপাড়া, ধোন্দাকোলা, এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উচ্চ তাপমাত্রার মধ্যেও কৃষকরা তাদের রোপনকৃত ফসল পরিচর্যায় নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন।
আকন্দ পাড়ার কৃষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, অনেক আশা নিয়ে ১৮ শতক জমিতে দেশি মাগুড়া জাতের মরিচ চাষ করেছি। কিন্তু তীব্র রোগের কারণে মরিচের গাছ রক্ষা করা কঠিন হয়েছে।
একই গ্রামের আব্দুস সামাদ জানান ২০ শতক জমিতে সনি জাতের মরিচ চাষ করেছি। কিন্তু মচিরের ফুল আসলেও তীব্র দাবদাহের কারণে ফুলগুলো লালছে বর্ণ ধারণ করে ঝড়ে পড়ছে। এ বছর মচির চাষে প্রতি বিঘায় ২০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
কৃষক ফটু আকন্দ বলেন, এ রকম গরম যদি অব্যাহত থাকে সেক্ষেত্রে মরিচ গাছ মরে যাবে। আমরা জমিতে সেচ প্রদান করার চেষ্টা করছি। কারণ দিনের বেলায় মাটিও প্রচন্ড গরম থাকে। কিন্তু জমিতে সেচ দিলে মরিচ গাছ মরে যেতে পারে ও গাছ ফুলে নষ্ট হবে। এ বছর আমি সরকি বিন্দি জাতের মরিচ চাষ করেছি। মরিচ এর পাশাপাশি আমাদের এলাকায় এলসি, বর্ধমান, পানি কচু, মুখী কচু ও ভুট্টা, কলাসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করা হয়েছে।
এব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা আলহাজ্ব আল মোজাহিদ সরকার বলেন, উচ্চ তাপমাত্রার কারণে কৃষকে ফসলের উপর প্রভাব পড়েছে। মচির, কলা, কচু, ভুট্টসহ বিভিন্ন ফসল রক্ষার জন্য বøক সুপার ভাইজারসহ আমার সার্বক্ষনিক কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছি। তবে এ আবহাওয়ার কারণে মাগুড়া জাতের মরিচ গাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ৫ বাংলাদেশি আহত
চন্দনাইশে সাতবাড়ীয়া বার আউলিয়া আলিম মাদ্রাসায় নতুন অধ্যক্ষের যোগদান
আসন্ন রৌমারী উপজেলা নির্বাচনী জনসভায় অপপ্রচারর বিরুদ্ধে মানববন্ধন