হোম » সারাদেশ » তীব্র গরমে বগুড়ায় কদর বেড়েছে আখের রস ও শরবতের

তীব্র গরমে বগুড়ায় কদর বেড়েছে আখের রস ও শরবতের

বগুড়া প্রতিনিধিঃ সারাদেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ব্যতিক্রম নেই বগুড়া জেলাতেও। বাতাসের সঙ্গে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রখর রোদে ঘাম ঝরিয়ে পথ চলতে হচ্ছে শ্রমজীবী ও পথচারীদের। তৃষ্ণার্ত হয়ে পান করছেন শরবত। বগুড়ার প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা চত্বর থেকে শুরু করে শহরের অলিগলিতে লেবু-আখের শরবতের অস্থায়ী দোকানের সংখ্যা বেড়েছে। সেখান থেকে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন পথচারীরা।
১০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়ায় এসব শরবতের চাহিদা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বগুড়া শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। শহরের নবাববাড়ী সড়কের পাশে সকাল ৯টা থেকেই আখের শরবতের দোকান নিয়ে বসেছেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ঈদের পর থেকে বেচাকেনা বেড়েছে। দৈনিক ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার শরবত বিক্রি করি। বৃষ্টি শুরু হলে আবার কমে যাবে। তখন মানুষ আর ঠান্ডা খেতে চায় না।
এখন যে তীব্র গরম অনেকেই একই সঙ্গে দুই গ্লাস করে শরবত খাচ্ছেন। দিনমজুর রিকশাচালক ও ভ্যান চালকদের চাহিদা বেশি। একই সুরে কথা বলেছেন শহরের সার্কিট হাউস মোড়ের শরবত বিক্রেতা আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসা গ্রীষ্মের এ কয়দিন। বড় বড় জুসের দোকানে দাম বেশি তাই সাধারণ মানুষ সেখানে যেতে পারে না। এখানে ১০ টাকা দিয়েই তৃষ্ণা মেটাতে পারে সবাই। সাধারণত এক গ্লাস ১০টাকা বিক্রি করি। সঙ্গে ট্যাংক দিয়ে ১৫ টাকা।
সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ গ্লাস শরবত বিক্রি করি। সারিয়াকান্দি উপজেলা থেকে আসা রতন নামে এক রিকশা চালক বলেন, সারাদিন রিকশা চালাই। এই গরমে একটু বিশ্রাম নিয়ে আখের রস খাচ্ছি। এটা অনেক মজার এবং অল্পতেই পিপাসা মেটে। মিলন মিয়া নামে এক পথচারী বলেন, মার্কেটিংয়ের কাজ করি, বেশিরভাগ বাইরে থাকা লাগে। একটু হাঁটলেই হাঁপিয়ে যাই। ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত হয়ে যাই।
প্রায় দিনই শরবত খাওয়া লাগে। এদিকে, গতকাল জেলায় মৌসুমের রেকর্ড সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, ফুটপাতের শরবতে অবশ্যই স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে। এগুলো থেকে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ হতে পারে। তবে চলমান এ গরমে শরীর সুস্থ রাখতে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পিপাসা মেটাতে ফুটপাতের শরবত ও পানি পান থেকে বিরত থাকতে হবে।।
error: Content is protected !!