হোম » সারাদেশ » কক্সবাজারের রাখাইন পল্লীতে জল খেলি উৎসবে মাতোয়ারা রাখাইন নারী পুরুষ

কক্সবাজারের রাখাইন পল্লীতে জল খেলি উৎসবে মাতোয়ারা রাখাইন নারী পুরুষ

মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী, কক্সবাজার প্রতিনিধি : পর্যটন নগরী কক্সবাজারে চলছে রাখাইন সম্প্রদায়ের তিন দিনব্যাপী ‘সাংগ্রেং পোয়ে’ বা জলকেলি উৎসব। ১৭ এপ্রিল ১৩৮৬ রাখাইন বর্ষকে সানন্দে বরণ করে নেয় সবাই। আর বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের রাখাইন পল্লী এখন উৎসবের তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) ছিল উৎসবের  তৃতীয়  দিন। এই দিনে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা ছিল রাখাইন পল্লীর তরুণ—তরুণীরা। তাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উৎসবের বর্ণিল আবহে শরীক হয় স্থানীয়সহ পর্যটকরাও। এতে ফুটে উঠে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।
বিকালে শহরের জলকেলি উৎসবের প্যান্ডেল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ও পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান। এসময় ৩২টি জলকেলির প্যান্ডেলকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও কক্সবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে অনুদান তুলে দেয়া হয়।
জলকেলির প্যান্ডেলগুলো ঘুুরে দেখা যায়, শহরের টেকপাড়া, হাঙর পাড়া, বার্মিজ স্কুল এলাকা, পূর্ব—পশ্চিম মাছ বাজার, , ক্যাং পাড়া ও বৈদ্যঘোনাস্থ থংরো পাড়ায় দুপুর ১ টা থেকে বাদ্য বাজনার তালে তালে দলবেঁধে ছুটে যায় রাখাইন তরুণরা। আর প্যান্ডেলে আগে থেকে অপেক্ষামান তরুণীরা এক অপরকে পানি ছিটিয়ে পুরোনো বছরের হতাশা দূর করে নব আলোকে পথ চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। ১৯ এপ্রিল জলকেলি উৎসবের সমাপনী দিন।
শহরছাড়াও মহেশখালী, টেকনাফ, হ্নীলা চৌধুরী পাড়া, রামু, পানিরছড়া, চকরিয়া, হারবাং, মানিক পুরসহ রাখাইন অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সপ্তাহ জুড়ে রাখাইন নববর্ষ পালনে নানা অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে।
কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মং ছেন হ্লা বলেন, আধিকাল থেকে রাখাইন নববর্ষ উপলক্ষে সামাজিকভাবে এই উৎসব পালন করে আসছি। এবারও আনন্দ—উল্লাসে নতুন বছরকে বরণ করছে সবাই। আমরা একে অপরের গায়ে মঙ্গল জল ছিটানোর মধ্য দিয়ে পুরনো দিনের সব ব্যথা, বেদনা, হিংসা বিদ্বেষ ভুলে নতুনভাবে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখি।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, রাখাইনদের জলকেলি উৎসবে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে কোন অঘটন না হয়
error: Content is protected !!