হোম » সারাদেশ » সোনাইমুড়ীতে মহাসড়ক দখল করে  বালুর ব্যবসা  পরিবেশ দূষণ

সোনাইমুড়ীতে মহাসড়ক দখল করে  বালুর ব্যবসা  পরিবেশ দূষণ

মোহাম্মদ হানিফ সোনাইমুড়ী নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার মহাসড়ক ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কের দু’পাশ জুড়ে চলছে জমজমাট বালুর ব্যবসা। আর এই অবৈধ বালুর ব্যবসার খেসারত দিচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, পথচারী, যাত্রী ও যানবাহন চালকরা। শুধু তাই নয়, ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ-তিনগুণ বালু ট্রাকে বহন করায় নানা স্থানে পাকা সড়কের পাশ দেবে নতুবা ভেঙে যাচ্ছে। ব্যস্ত সড়কের পাশে বালুর ব্যবসা করার অনুমতি না থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখের সামনে প্রকাশ্যে চলছে এই ব্যবসা।
এইদিকে   দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অবৈধ এই ব্যবসার পরিধি। ফলে একদিকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পথচারীরা অন্যদিকে প্রতিনিয়তই ছোট-বড় দুর্ঘটনায় পড়ছে বিভিন্ন যানবাহন। মাইজদী- ঢাকা মহাসড়ক  সোনাইমুড়ীর  থানার দুই পাসে উপজেলার  মহাসড়কের’পাশে  সোনাইমুড়ি  -রামগঞ্জ  মহাসড়কে   পাশে। বাংলা বাজার থেকে সোনাইমুড়ী মহাসড়কের দু’পাশ জুড়ে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অনেক অবৈধ বালুর ব্যবসা। সড়ক-মহাসড়কের পাশে কিংবা ব্যক্তিগত জমির ওপর এসব ব্যবসা গড়ে তোলা হলেও প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদফতর থেকে নেয়া হয়নি কোনো ধরনের অনুমতিপত্র।
এদিকে বজরা ইসলামগঞ্জ বাজার থেকে বজরা মেডিকেল পর্যন্ত মহা সড়কের দু’পাশে  গড়ে উঠেছে অন্তত ১০টি বালু ব্যবসার কেন্দ্র। সড়কের পাশে বালু স্তূপ করে রাখায় সারাক্ষণই বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে বালু। তাছাড়া সড়কের পাশে বালুর ব্যবসা করায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকেও। এতে করে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের চোখে মুখে ঢুকে পড়ে বালু। আর প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এমনকি দুর্ঘটনায় প্রাণও হারাচ্ছে মানুষ।
  কলেজ পড়ুয়া ইমদাদুল হক  বলেন   , সড়কের পাশে বালু ব্যবসায় গড়ে তোলায় আমাদের কলেজে  যাওয়া আসার পথে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বাতাসে বালু উড়ে আমাদের চোখে মুখে যায়। এতে করে আমরা সর্দি-কাশিসহ নানা শ্বাসজনিত রোগে ভুগতে হচ্ছে। আমরা সড়কের পাশে অবৈধ এই বালু ব্যবসা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
 বর্তমানে শুধুমাত্র  নোয়াখালী – ঢাকা  আঞ্চলিক মহাসড়কই নয়, ছাতারপাইয়া _ চৌমুহনী আঞ্চলিক মহসড়কসহ  শতাধিক স্থানে সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে বালুর ব্যবসা। প্রশাসনের ভূমিকা না থাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অবৈধ এই ব্যবসা।
নোয়াখালী জেলার  পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক  কাছে বারবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করে নাই। সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিস  ফাতেমা বলেন, সড়কের পাশে বালুর ব্যবসা করা ঝুঁকিপূর্ণসহ পরিবেশ ও সাধারণ লোকজনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আমার  আগে সাবে  নির্বাহী কর্মকর্তা  বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছি। আমি মাত্র এসেছি এই বিষয়ে যথাযথ  এই অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
error: Content is protected !!