হোম » সারাদেশ » সরিষাবাড়ীতে নিখোঁজের চারদিন পর ট্যাংকি থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধারঃ আটক ২

সরিষাবাড়ীতে নিখোঁজের চারদিন পর ট্যাংকি থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধারঃ আটক ২

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে নিখোঁজের চারদিন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী উজ্জ্বল মিয়া’র (১৪) লাশ টয়লেটের ট্যাংকির ভিতর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহরাব হোসাইন ও সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আবু সাইদ ও সাদ্দাম নামের ২ জনকে আটক করেছে বলে জানাগেছে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চর বালিয়া পুর্ব পাড়ার গ্রামের অসর আলীর পুত্র উজ্জ্বল মিয়া শেখ খলিলুর রহমান ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট এর নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় উজ্জলকে কয়েক বন্ধু বাড়ী থেকে ডেকে নেয়ার পর সে আর ঘরে ফিরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোজ নিয়ে তার সন্ধান না পেয়ে রাতেই পরিবারের লোকজন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের পর সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি।

রোববার উজ্জলের বোন বাড়ির আঙ্গিনায় কাজ করার সময় টয়লেটের ট্যাংকি থেকে তীব্র গন্ধ বের হলে পরিবারের সদস্যরা ট্যাংকির মুখ খুলে উজ্জল মিয়ার লাশ সনাক্ত করে।

সংবাদপেয়ে পুলিশ ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় এলাকায় চলছে শোকের মাতম। নিহতের বোন অন্তরা জানান, ভাইকে কয়েকদিন ধরে খোজাখুজি করতেছি।

কোন জায়গায় পাই নাই। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছিলাম। আজ আমি দুপুরে বাড়ীর সামনে কাজ করতেছি। এমন দুর্গন্ধ নাকে আসল। দুর্গন্ধ পেয়ে টাংকির মুখ খোলতেই আমার ভাই এর লাশ দেখতে পাই। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই। ফাসি চাই হত্যাকারীদের।

নিহত উজ্জল মিয়ার বাবা উসর আলী বলেন, ছেলেডারে বন্ধুরা মাইরা আবার আমার বাড়ির পাশে ট্যাংকির মধ্যে রাইখা গেছে। আমি ছেলে হত্যার উপযুক্ত বিচার চাই।

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে টাংকির মধ্যে থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে । ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুরে প্রেরণ করা হবে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহরাব হোসাইন জানান, গত ২৭ মার্চ আমাদের কাছে একটি অভিযোগ এসেছিল। অভিযোগ এর পরেই আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছি। ইমোতে মোবাইল ফোনে উজ্জলের মুক্তিপণ চেয়ে কল দেওয়া হয়। আমরা নাম্বারটি ট্রেকিং করেছিলাম। নাম্বারটি বন্ধ ছিল। হঠাৎ সংবাদ পেলাম বাথরুমের টাংকিতে লাশ রয়েছে। এরপরেই আমরা ২ জনকে আটক করি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায়
আনা হবে

Loading

error: Content is protected !!