হোম » সারাদেশ » নলডাঙ্গায় মুক্তিপন আদায়ের জন্য হত্যা, চারজন গ্রেফতার

নলডাঙ্গায় মুক্তিপন আদায়ের জন্য হত্যা, চারজন গ্রেফতার

মোস্তাফিজুর রহমান,নলডাঙ্গা, নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে ফারহান জাহি হিমেল(১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রকে মুক্তিপন আদায়ের উদ্দেশ্যে হত্যার ঘটনায় অপ্রাপ্ত বয়স্কসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম মাইনুল। শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যেমে এসব তথ্য জানান তিনি।
গ্রেপতারকুতরা হলেন, নলডাঙ্গা উপজেলার হাঁপানিয়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম সুজন (১৮), পিপরুল এলাকার প্রদীপ সাহার ছেলে সজল সাহা(১৮), সড়কুতিয়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে শিমুল(১৮) ও আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত আটককৃত মেহেদী হাসান (১৭) পাটুল পূর্বপাড়া এলাকার সুমন আলীর ছেলে।
নিহত ফারহান জাহি হিমেল সরদার উপজেলার পিপরুল গ্রামের টিসিবি ডিলার ওমর ফারুক সরদারের ছেলে ও পাটুল-হাপানিয়া স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানান, ফারহান জাহি হিমেল বৃহস্পতিবার বিকেলে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়।  রাত আটটা বাজলেও বাড়িতে না ফেরায় বাবা ওমর ফারুক বৃহস্পতিবার রাতে নলডাঙ্গা থানায় হাজির হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে লিখিতভাবে এজাহার দাখিল করেন। লিখিত এজাহারের প্রেক্ষিতে সূত্রোক্ত মামলাটি রুজু হয়। বিষয়টি অবগত হওয়ার সাথে সাথে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত  সন্দেহে শরিফুল ইসলাম সুজন কে তার নিজ বাড়ি হতে রাত ১১ টার দিকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল ইসলাম সুজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ও তার হেফাজত হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়।
শরিফুল ইসলাম সুজনের দেখানো মতে রাত আনুমানিক ১টার দিকে ৪নং পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পিছনে পরিত্যাক্ত ভবন হতে ফারহান জাহি হিমেল এর রক্তমাখা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল ও তার পাশ হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি লোহার দা, রক্তমাখা গামছা, রশি ও পলিথিন, ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি স্যামসাং বাটন মোবাইল ফোন, ব্যবহৃত একটি দুরন্ত বাই সাইকেল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
সেসাথে ঘটনার সাথে জড়িত সজল সাহা পার্থ ও শিমুল ইসলাম তাদের বসতবাড়ি হতে গ্রেফতার করে ও তাদের ব্যবহৃত ০২টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করে এবং আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত মেহেদী হাসান পুলিশ হেফাজতে গ্রহণ করে। মূলত মুক্তিপন আদায়ের উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। পরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

Loading

error: Content is protected !!