এইচ এম রুহুল কাদের, চকরিয়া: লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মঈনুদ্দিন মোর্শেদ,এবং পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী, দুই সহোদর নিজেরাই খুলে পরিচালনা করেন আহমেদ হাসান মেমোরিয়াল হাসপাতাল নামের একটি অবৈধ ক্লিনিক । আর সেখানে নিয়মিত চেম্বার করে পেকুয়া সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের ভাগিয়ে আনা হয় বলে জনশ্রুতি আছে । এই নাম সর্বস্ব ক্লিনিকে যারা ভর্তি হন, তারা মূলত বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে ঘুরে আসা রোগী । যে চিকিৎসা সরকারিতে হয় না, তা এখানে ঠিকই হয়, যার জন্য, গুণতে হয় বাড়তি টাকা।
চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নে আহমেদ হাসান মেমোরিয়াল হাসপাতালটি ২০২৩সালে দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পিতা মাষ্টার আহমেদ হাসানের নামে করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাযায়, আহমেদ হাসান মেমোরিয়াল হাসপাতালের অনুমোদনের জন্য আবেদন করলেও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি হাসপাতাল ও ল্যাবের যত লোকবল থাকা প্রয়োজন তাহা না থাকায় স্বাস্থ্য বিভাগ অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু তা স্বত্বেও হাসপাতালে নিয়মিত অপারেশন, ডেলিভারিসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৫ই মার্চ চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৭ সদস্যের একটি টিম আহমেদ হাসান হাসপাতাল পরিদর্শনে যায়। ক্লিনিকটিতে স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও ডিপ্লোমাধারী কোনো নার্স নেই । সরেজমিনে ঘুরে ও ক্লিনিক সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানাযায় যায়, মাত্র একজন স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও মিড ওয়াইফ দিয়ে চলে পুরো হাসপাতাল।
স্থানীয় ও বিশিষ্টজনদের প্রশ্ন , ডা: মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী একটি সরকারি হাসপাতালের প্রধান হয়ে অন্য একটি অবৈধ বেসরকারী হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান কিভাবে হয়?
এই ব্যাপারে ডা: মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালটি অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বিভাগীয় প্রধান দেখাতে সমস্যা নাই । তবে তিনি ডিপ্লোমাধারী স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত নার্স না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন অনেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি,কিন্তু ডিপ্লোমাধারী নার্স পাওয়া যাচ্ছে না।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শোভন দত্তের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ হাসপাতাল বন্ধে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছি,কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে,কিছু প্রতিষ্ঠান কিছুদিন সময় দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ঠ সময়ের মধ্যে সংশোধন না হলে অবৈধভাবে পরিচালিত হাসপাতাল গুলো সিলগালা করা হবে।
কক্সবাজার জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন নোবেল কুমার বড়ুয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর, যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি,আহমেদ হাসান মেমোরিয়াল হাসপাতালের বিরুদ্ধে খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন
চকরিয়াতে শিক্ষার্থীদের ৫ ঘন্টা প্রধান সড়ক অবরোধ
সরিষাবাড়ীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ ও গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপরাধ ছাত্র হত্যা ও ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ