হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » বগুড়ার শেরপুরে ঘরের তালা ভেঙ্গে স্বর্নালংকার ও নগদ অর্থ চুরি

বগুড়ার শেরপুরে ঘরের তালা ভেঙ্গে স্বর্নালংকার ও নগদ অর্থ চুরি

আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া শেরপুরে গভীর রাত্রে বাড়ি থেকে সোনা ও নগদ চার লক্ষাধিক টাকা চুরি হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শেরপুর উপজেলা মির্জাপুর ইউনিয়নের কাশিয়াবালা গ্রামের মাঝি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায় উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মৃত রাধা গোবিন্দের ছেলে শ্রী অনন্ত কুমার সরকার (মাষ্টার) (৬৫) বাড়িতে এ চুরিরর ঘটনা ঘটে। অনন্ত কুমার জানান, তিনি জানান ৬ ডিসেম্বর রাত্রি অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর রাত্রি অনুমান ২.০০ ঘটিকার পর থেকে থেকে ভোর রাত্রি অনুমান ৫ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা আমার নব নির্মিত বিল্ডিং এর ছাদ দিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে আমার ছেলে অনুপ কুমার সবুজ এর শয়ন কক্ষের দরজার লক ভেঙ্গে ওয়্যারড্রপের তালা গ্যাস লাইট দিয়ে গলিয়ে সেখানে থাকা একজোড়া স্বর্নের দুল ওজন অনুমান আট আনা আনুমানিক মূল্য ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা, একটি স্বর্নের চেন ওজন অনুমান আট আনা আনুমানিক মুল্য ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা, একটি স্বর্নের হাড় ওজন দেড় ভরি আনুমানিক মুল্য ১,৫০,০০০/ টাকা, স্বর্নের আংটি ছোট বড় আটটি ওজন অনুমান এক ভরি আনুমানিক মুল্য ১,০০,০০০/টাকা, হাতের রুলি এক জোড়ার ওজন এক ভরি আনুমানিক মুল্য ১ লক্ষ টাকা, হাতের বালা একজোড়ার ওজন অনুমান আটা আনা আনুমানিক মূল্য ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা, একটি স্বর্নের লকেট ওজন চার আনা আনুমানিক মুল্য ২৫,০০০ টাকা, নগদ টাকার পরিমাণ ৪ (চার) লক্ষ টাকা, সর্বমোট অনুমান মূল্য ৯,২৫,০০০/ টাকা,(নয় লক্ষ পঁচিশ হাজার) টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। আমার বাড়ীতে চুরি করার পর প্রতিবেশী পলাশের বাড়ীতে ও শুভাংকরের বাসায় চুরির চেষ্টা করে। কিন্তুু তারা টের পাওয়ার কারনে ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়।

ভোর অনুমান ৫.০০ ঘটিকার সময় ঘুম থেকে উঠে দেখি যে, আমার ছেলের ঘরের দরজা খোলা। তখন ঘরে গিয়ে দেখি যে,ওয়ারড্রপের তালা গ্যাস লাইট দিয়ে গলানো এবং সেখানে রাখা স্বর্নালংকার ও নগদ টাকা নাই। তখন শোরচিৎকার করিলে প্রতিবেশী লোকজন আমার বাড়ীতে আসে এবং ঘটনার বিষয়ে জানে ও শোনে।

আরো জানা যায়, একই রাতেই পার্শবর্তি গ্রাম সাতাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ীতে চুরি করতে গেলেও কিছুই নিতে পারেনি। তার সিসি ক্যামেরায় চোরের গতিবিধি রেকর্ড রয়েছে কিন্ত মাক্স পরে থাকায় তাকে চেনা যাচ্ছেনা।

এই চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দেবেন বলে জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা জানান, অভিযোগ পেয়েছি চোর চক্রকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

Loading

error: Content is protected !!