আওয়াজ অনলাইন : লকডাউনে বিপাকে পড়েছেন পোশাক শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ, কারখানা খোলা রাখা হলেও ব্যবস্থা রাখা হয়নি পরিবহনের। এমন পরিস্থিতিকে এক দেশে দুই নীতি বলে মনে করেন শ্রমিক নেতারা। তাদের মতে, লকডাউনে সরকারি কর্মকর্তারা যেখানে ঘরে থাকছেন, সেখানে পোশাক কারখানা খোলা রাখলেও নেই পরিবহন ব্যবস্থা।
এদিকে দেশে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের মধ্যে মালিকদের দাবির মুখে খোলা রাখা হয়েছে পোশাক কারখানা। তবে যাদের শ্রমে-ঘামে কারখানার চাকা ঘুরবে তাদের যাতায়াতের জন্য রাখা হয়নি পরিবহন।
গাড়ি না পেয়ে শ্রমিকরা বলেন, কারখানা বন্ধ করলে আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো। কারণ আমাদের ছেলে-মেয়ে আছে। আগে যে ভাড়া দিয়ে যেতাম এখন তার চেয়ে বেশি বাড়া দিয়ে যাচ্ছি। কোন গাড়ি পাইনি তাই পায়ে হেঁটে যাব।
গার্মেন্টস শ্রমিক নেতারা বলেন, লকডাউনে শ্রমিকরা কাজে যাচ্ছে। শ্রমিকরা যদি করোনায় আক্রান্ত হয় তাহলে এর দায়িত্ব নিতে হবে কারখানার মালিক আর সরকারকে। শ্রমিকদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত না করেই কারখানা চালু রাখা মালিকদের অবিবেচক সিদ্ধান্ত।
এ বিষয়ে বিকেএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, শ্রমিকদের যাতায়াতের ব্যবস্থা মালিকদের করতে হবে। লকডাউন শুরুর আগেই দূরের শ্রমিকদের যাতায়াতে পরিবহনের ব্যবস্থা করতে কারখানার মালিকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পোশাক কারখানার মালিকদের নিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকদের যাতায়াতের ব্যবস্থা না করলে কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
/এইচ. ছবি: সংগৃহীত।
আরও পড়ুন
যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট, মে’র শুরতে সুখবর
রাজশাহীর পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু