হোম » প্রধান সংবাদ » প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় রাকিবুর রহমানের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ

প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় রাকিবুর রহমানের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা বাতিল চেয়ে আসামি রাকিবুর রহমানের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে বিচারিক আদালতে এ মামলা চলতে আর কোন বাধা নেই বলে জানাগেছে।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে এ আদেশ দেন। আপিল আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর।

ধর্ষণের শিকার সাতক্ষীরায় এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে যাওয়ার সময় ২০০২ সালে সে সময়ের বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা করা হয়। পরে এ ঘটনার ১২ বছর পর হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে ২০১৪ সালে মামলা হয়। সেই মামলায় ২০১৭ সালে বিচার শুরু হয়। বিচার শুরু হলে এ মামলার আসামি রাকিবুর রহমান সে সময়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল সুতরাং তার বিচার এ আদালতে চলতে পারে না উল্লেখ করে আবেদন করা হয় হাইকোর্টে। পরবর্তীতে বিষয়টি আপিল বিভাগ পর‌্যন্ত গড়ায়। আজ আপিল বিভাগ তার আবেদন খারিজ করে দেন।

রায়ের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনির সাংবাদিকদের জানান, এ মামলাটি দীর্ঘায়িত করার জন্য বার বার আবেদন করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এই আপিল হয়েছে। আজ আপিল বিভাগ আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে বিচারিক আদালতে এ মামলা চলতে আর কোন বাধা নেই।

মামলার বিবরণ থেকে জানাযায়, ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার পথে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

এরপর হাইকোর্টে আবেদন করে ২০১৪ সালে মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৫ সালে এ ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এর মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলায় এক আসামি রকিব ওরফে রাকিবুর রহমানের বয়স ঘটনার সময় ১০ বছর ছিলো উল্লেখ করে হাইকোর্টে মামলা বাতিলে আবেদন করা হয়। ২০১৭ সালে ওই আবেদনের একই সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে ৮ অক্টোবর রুলটি খারিজ করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে আসামিপক্ষ।

error: Content is protected !!