আঃ জলিল পরদিন থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ওবায়েদ বিষয়টি একডালা পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জ এসআই ফরিদ উদ্দীনের নিকট বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেন। এসআই ফরিদ উদ্দীন বিষয়টি নিয়ে মিমাংশার জন্য মঙ্গলবার উভয় পক্ষকে আবাদপুকুর কলেজ মাঠে সালিশ বৈঠক ডাকেন। তাতে সিরাজুলরা ৩ ভাই ও তার বাবা সখিমুদ্দীন এবং অপর পক্ষ ভ্যান চালক ও যাত্রী আঃ জলিলসহ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাজাহান ও সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলামসহ পুলিশের এসআই ফরিদ ও আর একজন সদস্য উপস্থিত থাকবেন বলে জানান। এসআই ফরিদের কথামত তারা কাউকেও না নিয়ে চলে যায় শালিশে। গিয়ে দেখে প্রতিপক্ষের প্রায় শতাধিক লোক। বিষয়টি দেখে এসআই ফরিদকে জানালে তিনি বলে কোন অসুবিধা নাই বলে আশ্বস্ত করেন। শালিসে বিস্তারিত কোন কিছু না শুনে একতরফা ভাবে তাদের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে ৪ সদস্যের একটি জুড়ী বোর্ড গঠন করে দেয় এসআই ফরিদ ও চেয়ারম্যান শাজাহান আলী।
জুড়ি বোর্ডের সদস্যরা হলেন, এসআই ফরিদ ও আর একজন ফাড়ির পুলিশ সদস্য, চেয়ারম্যান শাজাহান আলী ও সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম। জুড়ী বোর্ডে তাদের কোন লোক ছিল না। জুড়ি বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় এসআই ফরিদ। সিরাজুলসহ তার ৩ ভাই ও তার বাবা সখুমদ্দিনকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। জরিমানার টাকা ৫ হাজার আঃ জলিলকে এবং ৩ হাজার টাকা ভ্যান চালককে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আর হাত ধরে ক্ষমা চাইতে হবে পিতাসহ তাদেরকে এই শালিশে। বাধ্য হয়ে নগদ টাকা দিয়ে সিরাজুলেরা দুই ভাই ও তার বাবা কোন অপরাধ না করেও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ায় ওই মাঠ থেকে চলে আসে। তবে তার ছোট ভাই কোন ক্ষমা চায় না। সখুমুদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরে ওই এলাকার বিচার শালিস করে আসছিল। তাকে ছাড়া ওই ইউনিয়নে কোন বিচার শালিশ হয় নাই।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহজান আলী বলেন, আমি জুড়ি বোর্ডের সদস্য থাকলেও ওই শালিশ বৈঠক আমি ডাকি নাই। ডেকেছেন একডালা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফরিদ উদ্দিন। বৈঠকে আলহাজ সকিন উদ্দিনের ৮ হাজার টাকা জরিমানার মধ্যে ৩ হাজার টাকা ভ্যান চালক এবং ৫ হাজার টাকা আব্দুল জলিলকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একই সাথে সকিন উদ্দিন এবং তার ছেলেদেরকে ওই শালীশ বৈঠকে প্রতিপক্ষের কাছে ক্ষমা চান। একডালা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফরিদ উদ্দিন জুড়ি বোর্ডে সদস্য থাকার কথা স্বীকার করলেও মিটিং ডাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। রানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ওবায়েদ বলেন, তিনি এ বিষয়ে তিনি লোকমুখে এসব ঘটনা শুনেছেন তবে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেননি।
আরও পড়ুন
আবারও বাড়ছে তিস্তার পানি
২৯ জুন ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা
সাগরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত, পাঁচ জেলায় ভূমিধসের শঙ্কা