হোম » অন্যান্য বিভাগ » রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার পরিকল্পনা,  র্যাব এর অভিযানেআরসা’র শীর্ষ চার সন্ত্রাসী বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার 

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার পরিকল্পনা,  র্যাব এর অভিযানেআরসা’র শীর্ষ চার সন্ত্রাসী বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার 

মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী: সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা’র শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. ইউনুস ওরফে মাস্টার ইউনুসসহ চারজন আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
উখিয়ার জামতলী এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ল’ এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উখিয়ার ১০ নং ক্যাম্পের ব্লক-এইচ/৪২ এর নজিব আহম্মদের ছেলে মো. ইউনুস ওরফে মাস্টার ইউনুস (৩৭), কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ ব্লক-বি/২৩ এর আব্দুল মোতালেবের ছেলে মফিজুর রহমান ওরফে মুজিয়া, উখিয়া ক্যাম্প-১ ওয়েস্ট, ব্লক-এ/৪ এর হাসু মিয়ার ছেলে এনায়েত উল্লাহ (২৬) ও উখিয়া ক্যাম্প-৪, ব্লক-সি/২৫ এর আব্দু রহমানের ছেলে মোহাম্মদ জাবের ওরফে আমানুল্লাহউল্যার (২৭)।
র‌্যাব জানিয়েছে- সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নাশকতা সৃষ্টর লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা’র সদস্যরা উখিয়া থানাধীন জামতলী ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি ঘরে  বৈঠক করে পরিকল্পনা করছে। এমন তথ্যে র‌্যাব উখিয়ার জামতলী ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আরসা সদস্যরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে এবং আত্মরক্ষার্থে বেশ কিছুক্ষণ ধরে র‌্যাবের সাথে আরসা’র গুলি বিনিময় হয়। একপর্যায়ে নাশকতার পরিকল্পনায় ব্যবহৃত ঘরটিকে র‌্যাবের আভিযানিক দল চারিদিক থেকে ঘেরাও করে সেখান থেকে আরসা’র অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. ইউনুস ওরফে মাস্টার ইউনুস, মুজিয়া, এনায়েত উল্লাহ এবং আমানুল্লাহ উল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় ১টি বিদেশী পিস্তল ম্যাগাজিনসহ, ২টি ওয়ান শুটার গান, ২টি দেশীয় তৈরী এলজি, ৪ রাউন্ড বিদেশী পিস্তলের কার্তুজ, ৫টি এলজি’র কার্তুজ, বড় ককটেল ৫টি, ছোট ককটেল ৮টি, ৪টি স্মার্টফোন এবং ২টি পকেট নোটবুক, ২টি হিসাবের খাতা ও ৪৪ পৃষ্ঠাযুক্ত হিসাবের লিস্ট খাতা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাথে থাকা আরও চারজন আরসা সদস্য পালিয়েছে বলে জানা যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যে র‌্যাব জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা জোরপূর্বক বাস্তুুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিক। গ্রেপ্তার মো. ইউনুস ওরফে মাস্টার ইউনুস ২০১৭ সালে পরিবারসহ মায়ানমারের মংডু থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে আসার পর তার বাসার পাশে থাকা মারকাস এর অফিসের লোকজনের সাথে মেলামেশা করতে করতে একপর্যায়ে বন্ধু মৌলভী সৈয়দ আলম এর কোরআন শপথের মাধ্যমে মো. মাস্টার ইউনুস আরসায় যোগদান করে। পরবর্তীতে সে শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত সাধারণ রোহিঙ্গাদেরকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে আরসায় যোগদান করতো এবং প্রশিক্ষণের জন্য পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠাতো।
error: Content is protected !!