হোম » অন্যান্য বিভাগ » পানগুছি নদী হতে উদ্ধারকৃত যুবকের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে দাফন  সম্পন্ন

পানগুছি নদী হতে উদ্ধারকৃত যুবকের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে দাফন  সম্পন্ন

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পানগুছি নদী হতে উদ্ধারকৃত যুবকের  মরদেহের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর  করে পুলিশ এবং বুধবার পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
 গত সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে পানগুছি  নদী হতে বিকৃত একটি মরদেহ  উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ থানা  পুলিশ। প্রথমে পরিচয় পাওয়া না গেলেও  পরবর্তীতে  তার পরিচয় জানা যায়।
মরদেহটি মোরেলগঞ্জ  পৌরসভার  ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আব্দুল জলিল হাওলাদারের পুত্র মো. মিলন (৩৫) হাওলাদারের।  শনিবার মধ্য রাত থেকে মিলন নিখোঁজ ছিল বলে মিলনের স্ত্রী খাদিজা জানান। খাদিজা আরও জানান,  শনিবার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে  স্থানীয় কয়েকজন মিলনকে মারধর করে। এতে গুরুতর আহত হলে ওই রাতে প্রায় ১২ টার দিকে ওষুধ আনতে  বাজারে রওয়ানা দেয় সে।
স্ত্রী  খাদিজাও তার পিছন পিছন যায়। পরে রাতে ওষুধের দোকান বন্ধ পেয়ে তারা ফিরে আসতে পথিমধ্যে কুকুর  তাদের তাড়া করে। কুকুরের তাড়া খেয়ে তারা পরস্পর  বিচ্ছিন্ন  হয়ে পড়ে। পরে অবস্থা  স্বাভাবিক হলে খাদিজা মুসল্লীপাড়াস্থ বাসায় ফিরে আসেন। কিন্তু তার স্বামী মিলন আর ফিরে আসে না। অনেক খোঁজাখুজির পর মিলনকে না পেয়ে রবিবার সকালে খাদিজা ঘটনাটি পুলিশে জানান।
পরদিন সোমবার দুপুরে পানগুছি  নদীর সানকিভাঙ্গা পাড়ে একটি ইটভাটা সংলগ্ন এলাকায় কতিপয় এলাকাবাসী একটি  মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে মিলনের পরিবার মরদেহটি সনাক্ত  করে। পরে পোস্টমর্টেম শেষে বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে মিলনের মরদেহ মুসল্লীপাড়া কবরস্থানে কবরস্থ করা হয়।  নিহত মিলনের ১১ মাসের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়দের ধারণা, ওই রাতে কুকুরের  তাড়া খেয়ে আত্মরক্ষার্থে নদীতে ঝাঁফ দিতে গিয়ে পাইলিংয়ের সাথে সজোরে আঘাত  লেগে ডুবে যেতে পারে সে।
 মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ  মো. সাইদুর রহমান জানান, মিলনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং মোরেলগঞ্জ  থানায় একটি অপমৃত্যু  মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
error: Content is protected !!