হোম » অন্যান্য বিভাগ » কক্সবাজারে ব্যংক ঋন দিতে ১০% ঘুষ দাবী : অগ্রিম নিয়েছে ৫০ হাজার টাকা

কক্সবাজারে ব্যংক ঋন দিতে ১০% ঘুষ দাবী : অগ্রিম নিয়েছে ৫০ হাজার টাকা

মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী : ব্যাংক ঋন দিতে গ্রাহকের কাছ থেকে ১০% ঘুষ দাবী করেছে কক্সবাজারস্থ ব্যাংক এশিয়ার ম্যানেজার রাজীব ধর। এমন অভিযোগ করেছেন সরকারের শিক্ষা ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা প্রফেসর আখতার আলম।
বাংলাদেশ ব্যাংক সহ বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, ৩০ লাখ টাকার হাউজ লোন দিতে ১০% ঘুষ দাবী করেছে। পরে ১০ লাখ টাকা নেওয়ার জন্য ইতি মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে আরো টাকার জন্য তিনি আমাকে ঋন খেলাপী সহ বিভিন্ন ভাবে অপমানিত করছে। এতে আমার পারিবারিক ও ব্যাক্তিগত ভাবে সম্মানহানী হয়েছে।
শহরের টেকপাড়ার বাসিন্দা প্রফেসর আখতার আলম জানান,আমার বাড়ি পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পূর্ব টেকপাড়া। সেখানে আমার বাড়ি নির্মাণের জন্য একজন পরিচিত ব্যাক্তির মাধ্যমে বার্মিজ মার্কেটস্থ ব্যাংক এশিয়ায় ঋনের জন্য আবেদন করেন আমার স্ত্রী টেকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিলারা খানম।
সেখানে আমি গ্যরান্টার হয়েছি। সে হিসাবে ব্যাংক এশিয়ার ম্যানেজার রাজীব ধর এবং আরেক কর্মকর্তা পিপলু বড়–য়া আমার বাড়িতে এসে সরজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ৩০ লাখ টাকা ঋন দেওয়ার জন্য সব কিছু কথাবার্তা বলে যায়। অনেকবার তারা স্থান পরিদর্শন করেছে। ৪/৫ মাস হয়ে গেলেও কোন অগ্রগতি না হওয়ায় পরেআমি খোঁজ নিলে ম্যানেজার আমাকে বলে ঢাকাতে কিছু খরচ আছে আমি জানতে চাইলে তিনি বলেন ১০% টাকা দিতে হবে। অর্থ্যাৎ ৩ লাখ টাকা। আমি ও আমার স্ত্রী অনেক ভেবে চিন্তে শুধু মাত্র ১০ লাখ টাকার ঋনের জন্য বলি। সে হিসাবে ১০% এক লাখ টাকা দিতে হবে।  তখন তারা দুজনেই আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম ঘুষ গ্রহন করেছে।
বাকিটা কাজ হলে দেওয়ার কথা। এখন অনেক দিন অতিবাহিত হলে ব্যাংক এশিয়ার ম্যানেজার আমাকে বলে আমি নাকি ১ কোটি টাকা ঋন খেলাপী অথচ আমি জীবনে কোন ব্যাংক থেকে ঋন গ্রহন করিনি। ব্যাংক এশিয়ার ম্যানেজার বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সি আই বি রিপোর্ট আমাকে ঋন খেলাপী বলছে অথচ আমি নিজে শাহ জালাল ইসলামী ব্যাংকে গিয়ে আমার সিআইবি রিপোর্ট সংগ্রহ করি সেখানে আমার রিপোর্টে কোন কিছুই দেখাচ্ছে না। এর পরে আমি আমার এক পরিচিত ব্যাক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগাযোগ করলে তারাও জানাই আমার সিআইবি রিপোর্টে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু ব্যাংক এশিয়ার ম্যানেজার আমাকে ঋন খেলাপী বলছে এতে আমার পারিবারিক ও ব্যাক্তিগত ভাবে খুবই সম্মানহানীকর অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছি। মূলত ব্যাংক এশিয়ার ম্যানেজার রাজীব ধর ও পিকলু বড়–য়া আরো বেশি টাকার জন্য আমাকে নানান ভাবে হয়রানী করছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর বিচার চাই। এভাবে ব্যাংক কর্মকর্তারা সম্মানী মানুষকে হয়রানী বা জিম্মি করে ঘুষ আদায় করছে যা মোটেও কাম্য নয়।
এ ব্যপারে কক্সবাজার ব্যাংক এশিয়ার ম্যানেজার রাজীব ধর বলেন,এটা মিথ্যা অভিযোগ আমি বা আমার কোন কর্মকর্তা ঘুষ গ্রহন করেনি বা দাবী ও করেনি। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে উনার সিআইবি রিপোর্টে খারাপ এসেছে। সেখানে আমার করার কিছুই নেই।
error: Content is protected !!