হোম » অন্যান্য বিভাগ » জামালপুরে আওয়ামীলীগ নেতা জিএসএম মিজানের উপর হামলা, গ্রেপ্তার-২

জামালপুরে আওয়ামীলীগ নেতা জিএসএম মিজানের উপর হামলা, গ্রেপ্তার-২

রবিউল হাসান লায়ন : জামালপুরে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জিএস মিজানুর রহমানের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত আওয়ামীগ নেতা মিজান জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।সোমবার সন্ধারাতে জামালপুর শহর বাইপাস রোডে চাপাতলা এলাকায় সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা চালায়।
এ ঘটনায় আরিফুল হাসান ওরফে মুক্তা (৩৫) ও জেসমিন সুলতানা জলি (৩২)  নামে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত মুক্তা শহরের মিয়াপাড়া এলাকার মৃত আনসার আলীর ছেলে, সে জামালপুর শহর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। অপরদিকে আটককৃত জেসমিন আক্তার মেলান্দহ উপজেলার কাচাইকাটা গ্রামের রাজুল ইসলাম তালুকদার সজিবের স্ত্রী।
গ্রেপ্তারকৃত আরিফুল হক মুক্তা বিরুদ্ধে জামালপুর সদর থানাসহ জেলার অন্যন্য থানায় চুরি ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাহনেওয়াজ খান বলেন, জামালপুর শহর বাইপাসের চাপাতলা এলাকায় মোটর সাইকেলে ধাক্কা লাগা নিয়ে এক মোটর সাইকেলের আরোহীর সাথে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। ওই সড়কে যাওয়ার পথে আওয়ামীগ নেতা মিজান তাদের ঝগড়াবিবাদ মেটানোর জন্য মুক্তাকে ধমকদিয়ে থামিয়ে দেয়। ফেরার পথে উৎপেতে থাকা মুক্তাসহ তার সহযোগীরা আওয়ামীলীগ নেতা মিজানের উপর হামলা চালায়।
 কিলঘুঁষিসহ এলোপাথারী মারধর করে। পরে স্থানীরা সন্ত্রাসীদের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসী মুক্তা একজন ভারাটে সন্ত্রাসী। টাকার বিনিময়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে বেড়ায়। সে একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। চুরিসহ নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। একসময়  বিএনপির ছায়াতলে থেকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াতো সে। পরে চুরি ও ছিনাইয়ের মামলায় দীর্ঘদিন কারাবাসের পর বছর খানেক আগে জামিনে মুক্ত হয়ে জেলখানা থেকে বেড়িয়ে আসেন। পরে  ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেনের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়। মুক্তার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার ভুমিদস্যুতা কাজে নিয়োজিত আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে জামালপুর পৌর আওয়ামীলীগের ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, মুক্তা আমার খালাতো ভাই। সে আমার আত্বীয় এটা ঠিক আছে তবে আমার আশ্রয় প্রশ্রয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায় এই তথ্য সঠিক নয়।
জামালপুর সদর থানার ওসি আরো বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং  ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আটকৃতদের মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
error: Content is protected !!