হোম » অন্যান্য বিভাগ » হিংসা একটি ভয়াবহ আত্মার রোগ. হিংসুকরা আল্লাহর বিশেষ ক্ষমা লাভ থেকেও বঞ্চিত হতে পারে না

হিংসা একটি ভয়াবহ আত্মার রোগ. হিংসুকরা আল্লাহর বিশেষ ক্ষমা লাভ থেকেও বঞ্চিত হতে পারে না

মোহাম্মদ হানিফ (গোলজার হানিফ)  নোয়াখালী প্রতিনিধি : তাই হিংসা রোগ থেকে নিরাময়ের জন্য আত্মিক চিকিৎসা প্রয়োজন। অল্পতে তুষ্ট থাকা, অন্তর থেকে লোভ-লালসা বের করে দেওয়া এবং যার প্রতি হিংসা হয় তার জন্য দোয়া করা ও সালাম বিনিময় করাই হচ্ছে হিংসা রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করার উত্তম চিকিৎসা।
মানবহৃদয়ে সবচেয়ে নোংরা ও ক্ষতিকর কাজ হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা, অমঙ্গল কামনা, পারস্পরিক শত্রুতা ইত্যাদি। এগুলোর উপস্থিতি হৃদয়কে কলুষিত করে, ভারাক্রান্ত করে, আল্লাহর জিকির থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং সর্বোপরি অন্যান্য নেক আমল নষ্ট করে দেয় মনে রাখতে হবে, আল্লাহ তাআলা কাউকে নেয়ামত বা সফলতা দিতে চাইলে তাকে ব্যর্থ করার ক্ষমতা দুনিয়ার কারো নেই।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ মানুষের প্রতি কোনো অনুগ্রহ অবারিত করলে কেউ তা নিবারণকারী নেই এবং তিনি কিছু নিরুদ্ধ করতে চাইলে কেউ তার উন্মুক্তকারী নেই। আর তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।’
মুসলমান মুসলমানে হিংসা আল্লাহর জিকির থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং সর্বোপরি অন্যান্য নেক আমল এবং দীন-ধর্মও ধ্বংস করে দেয়। নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা হিংসা থেকে বেঁচে থাকো কেননা হিংসা নেক আমল এমনভাবে খেয়ে ফেলে (ধ্বংস করে দেয়) যেমন আগুন কাঠখণ্ডকে খেয়ে ফেলে (জ্বালিয়ে শেষ করে দেয়)।হিংসুকরা আল্লাহর বিশেষ ক্ষমা লাভ থেকেও বঞ্চিত।
জান্নাতি লোকের বৈশিষ্ট্যই হলো তার জীবনে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। কেননা এটি জান্নাতি লোকের চরিত্রের সঙ্গে যায় না। জান্নাতি লোকমাত্রই এসব নোংরা স্বভাব থেকে পবিত্র থাকবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেন,  ‘প্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তারা পূর্ণিমার চাঁদের উজ্জ্বল চেহারা নিয়ে প্রবেশ করবে আর তাদের পর যারা প্রবেশ করবে তারা অতি উজ্জ্বল তারার মতো আকৃতি ধারণ করবে। তাদের অন্তরগুলো এক ব্যক্তির অন্তরের মতো থাকবে। তাদের মধ্যে কোনো রকম মতভেদ থাকবে না আর পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না।
একজন ইমানদারের জন্য নিজেকে হিংসামুক্ত রাখা যেমন জরুরি, তেমনি সর্বদা হিংসুকের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করাও জরুরি। মহাগ্রন্থ আল কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর (তুমি বলো, আমি আশ্রয় চাই) হিংসুকের অনিষ্ট থেকে, যখন সে হিংসা করে।
ব্যর্থতায় ভয় পাবেন না। এটা দেখায় যে, আপনি একজন মানুষ। এই জীবন কোনোভাবেই নিখুঁত নয়। সুতরাং ব্যর্থতা আপনাকে শেখায় যে, আপনার বেড়ে ওঠার এবং আরও ভালো হওয়ার অবকাশ আছে। প্রতিটি ত্রুটির সঙ্গে আমরা কিছু শিখতে পারি। মনে রাখবেন, আপনার ভুলগুলো আপনাকে সংজ্ঞায়িত করে না। সত্যটি হলো এসব আপনাকে অনেক কিছু শেখায় আল্লাহ আমাদের সকলকে পারস্পরিক হিংসা ও বিদ্বেষ থেকে রক্ষা করুন এবং আমাদের সবাইকে ভাই-ভাই হবার তাওফীক দিন- আমীন!
error: Content is protected !!