হোম » অন্যান্য বিভাগ » দাগনভূঞার এক সূর্য সন্তানের বিদায়

দাগনভূঞার এক সূর্য সন্তানের বিদায়

দাগনভূঞা প্রতিনিধি: বাংলাদেশের সূর্য সন্তান ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার গর্ব ৬নং দাগনভূঁইঞা সদর ইউনিয়নের দক্ষিন করিমপুর গ্রাম নিবাসী সাবেক বিমান বাহিনীর প্রধান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা,  এয়ারভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ (বীর উত্তম) ১৪ আগষ্ঠ রাতে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতলে ইন্তেকাল করিয়াছেন।  ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তিনি ১৯৪৪ সালে ছাগলনাইয়া উপজেলার নিজকুনজরা মজলিস বাড়িতে (নানা বাড়ি) জন্মগ্রহণ করেন সুলতান মাহমুদ। পৈত্রিক বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা সদর ইউনিয়নের দক্ষিন করিমপুর গ্রামে। তার বাবার নাম নূরুল হুদা এবং মায়ের নাম আঙ্কুরের নেছা। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করে।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে তিনি স্বাধীনতা পদক পান। স্ত্রীর ফেরদৌস আরা মাহমুদ। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে। তার তিন ভাইয়ের অন্য দু’জন বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম কামাল মাহমুদ এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন।
সুলতান মাহমুদ ১৯৬২’র ১ জুলাই বিমান বাহিনীর জিডি পাইলট হিসেবে সে সময়ের পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি থেকে কমিশন লাভ করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই নম্বর সেক্টর ও পরবর্তীতে সেক্টর এক-এর কমান্ডিং অফিসার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সেই সময়ের স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদ।
৭১-এর ২৮ শে সেপ্টেম্বর ভারতের নাগাল্যান্ডের বিমান ঘাঁটিতে গঠন করা হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম কিলো ফ্লাইট। ১০জন পাইলট, ৬৭ জন টেকনিশিয়ান, একটি এলয়েড থ্রি হেলিকপ্টার, একটি অটার ও একটি ডিসি থ্রি ডকোডা উড়োজাহাজ নিয়ে যার যাত্রা শুরু, প্রশিক্ষণ চলে ২ মাস। কিলো ফ্লাইটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুলতান মাহমুদ।
১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রথম অভিযানে ভারতের কৈলশহর বিমানঘাঁটি থেকে মাঝরাতে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে বাংলার আকাশসীমায় প্রবশে করে সফল অভিযান পরিচালনা করেন কিলোফ্লাইটের সদস্যরা। নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল তেলের ডিপোতে সফল আঘাত হানে স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদ ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বদরুল আলমের নেতৃত্বে একটি এলয়েড হেলিকপ্টার।
আমি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
মহান আল্লাহ্ যেন জাতির এই বীর কে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।। আমিন
error: Content is protected !!