হোম » অন্যান্য বিভাগ » সরিষাবাড়ীতে লাম্পি স্কীন ডিজিজে দেড় সহস্রাধিক গরু আক্রান্তঃ ৫৮ টি গরুর মৃত্যু

সরিষাবাড়ীতে লাম্পি স্কীন ডিজিজে দেড় সহস্রাধিক গরু আক্রান্তঃ ৫৮ টি গরুর মৃত্যু

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় প্রায় দেড় সহস্রাধিক গরু লাম্পি স্কীন ডিজিজ (এলএসডি)এ আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে প্রায় ৫৮টি গরু।

প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালসূত্রে জানাগেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলা ও পৌর সভায় মোট ১৪৪৩টি খামারের মধ্যে গরু মোটাতাজা করণ খামার রয়েছে ৮৩৩ টি ও ৬১০টি দুগ্ধ খামার। রয়েছে প্রায় এক লাখ গরু এবং ৫ শতাধিক মহিষ। গরু লাম্পি স্কীন ডিজিজ (এলএসডি)এ আক্রান্তের সংবাদে প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল স্বল্প পরিসরে ডিজিজ
প্রতিরোধে বিনামূল্যে টিকা প্রদান করে।

ডিজিজে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। স্থানীয় পশু হাসপাতালে এ রোগের কোন ওষুধ নেই।

খামার এবং গরু/মহিষের মালিকরা সরকারের চিকিৎসা সেবা না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানাগেছে। পশু হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ না থাকলেও মৌখিক পরামর্শ দেয়ার জন্য ৯টি মেডিক্যাল ক্যাম্প খোলা হয়েছে।

এতে করে খামারী, কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। সরকারী চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ৩ আগষ্ট পর্যন্ত উপজেলায় ৫৮ টি গরু লাম্পি স্কীন ডিজিজ (এলএসডি)এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে জানাগেছে।

এর মধ্যে সাতপোয়া ইউনিয়নের নান্দিনা গ্রামের শামীম মিয়ার ২টি গরু, পৌরসভার নাওগোলা গ্রামের প্রান্তিক কৃষক উজ্জল মিয়ার ১টি গরু, হরিপুরের করিমের ১টি গরু, ছাতারিয়ার ফজলের ১টি গরুসহ এলাকার প্রায় ৫৮টি গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানাগেছে। এ রোগে আক্রান্ত প্রায় দেড় সহস্রাধিক।

দিন দিন এ রোগের প্রাদূর্ভাব বেড়েই চলেছে। উপজেলার গ্রাম থেকে আসা এলএসডিএ আক্রান্ত গরুর খামারী ও পশু পালনকারী কৃষকরা চিকিৎসার জন্য প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে পরামর্শ নিয়ে বিদায় হচ্ছেন
জানাগেছে।

তারা এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার না করে আক্রান্ত গরু/মহিষকে নিমপাতা, খাবার সোডা, লেবু/আখের রস, লবন ও প্যারাসিটামল
খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডেইরী ও পোট্টি কনসালটেন্ট ডা: পলাশ কান্তি দত্ত বলেন, উপজেলা প্রাণি সম্পদের আওতায় ইতিমধ্যে দুই হাজার গবাদিকে এলএসডি টিকা প্রদান ও ১০৩৮ গবাদিকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। লাম্পি স্কিন ডিজিজের জন্য সরকারী কোন ঔষধ বরাদ্ধ না থাকায় আমি ব্যক্তিগত উদ্যেগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। প্রাণি সম্পদ বিভাগ থেকে বৎসরে একবার মাত্র ঔষধ বরাদ্ধ আসে।

error: Content is protected !!