হোম » অন্যান্য বিভাগ » কুতুবদিয়ায় ১০ ফিশিং ট্রলার ডুবি, ৩০ জেলে এখনো নিখোঁজ

কুতুবদিয়ায় ১০ ফিশিং ট্রলার ডুবি, ৩০ জেলে এখনো নিখোঁজ

মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী, কক্সবাজার: বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে মাছ শিকারে যাওয়া ১০টি ফিশিং ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ট্রলারগুলোতে থাকা ৪০ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ২ আগষ্ট বুধবার দুপুর ১ টায় এ রিপোর্ট লেখার পর্যন্ত অন্তত ৩০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটলেও রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মধ্যে ছয়টির নাম জানা গেছে। সেগুলো হলো- বড়ঘোপ ইউনিয়নের অমজাখালী এলাকার মোক্তার আহমদের মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলার। ওই ট্রলারে থাকা ১০ জেলেকে উদ্ধার করা হলেও ট্রলারটি পাওয়া যায়নি।
শাহাব উদ্দিনের মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলার ডুবে গেলেও সেখানে থাকা ৮ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দেলোয়ার হোসেন ভেট্টোর মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলার ডুবিতে ১২ জেলের মধ্যে ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারসহ ২ জেলে নিখোঁজ আছেন।
আনোয়ার হোসেনের মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলারসহ ৮ জেলে নিখোঁজ আছেন। খোরশেদ আলমের মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলারসহ ১০ জেলে নিখোঁজ আছেন। উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের মিয়ারাকাটা এলাকায় আবদুল্লাহ আল নোমানের মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলার ডুবে গেলেও ১০ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া চারটি ফিশিং ট্রলারের নাম জানা না গেলেও সেগুলোতে থাকা ১০ জনের মতো জেলে নিখোঁজ আছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া অনেক মাছ ধরার ট্রলার এখনো উপকূলে ফিরে আসেনি বলে জানিয়েছেন কুতুবদিয়া উপজেলা মৎস্য অফিস।
বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, কুতুবদিয়া উপকূলের শত শত ট্রলার গত সোমবার সকালে মাছ ধরার জন্য বঙ্গোপসাগরে রওনা হয়। একদিন পর মঙ্গলবার সকালে সাগরে নিম্নচাপের প্রভাব শুরু হলে প্রবল বাতাসে কুতুবদিয়া উপকূলের ১০টি ফিশিং ট্রলার ডুবে যায়। এসব ট্রলারের ৪০ জেলে উদ্ধার হলেও এখনো ৩০ জন নিখোঁজ আছেন। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের জন্য সাগরে ট্রলার পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই ইউপি চেয়ারম্যান।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমূদ্রবন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে৷
error: Content is protected !!