হোম » অন্যান্য বিভাগ » বগুড়ায় করতোয়া নদীতে কচুরীপানা অপসারণ করলেন ডিসি

বগুড়ায় করতোয়া নদীতে কচুরীপানা অপসারণ করলেন ডিসি

এম এ রাশেদ,বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: ডেঙ্গু, লাম্পিস্কীন ডিজিজসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের লক্ষে বগুড়ায় করতোয়া নদীতে কচুরিপানা অপসারণের মধ্য দিয়ে পরিস্কারকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ও অন্যান্য সরকারি দপ্তরের সহযোগিতায় মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টায় শহরের এসপি ব্রীজ এলাকায় জেলা প্রশাসন এ কর্মসূচির আয়োজন করে। শোকের মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উল্লিখিত বাণী বাস্তবায়নে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে পরিস্কারকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম।
এসময় তিনি বলেন, বগুড়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার প্রানকেন্দ্র। সে লক্ষেই বগুড়াকে গ্রীন সিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বগুড়ার সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তুলতে করতোয়া নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। করতোয়া নদীকে দখলমুক্ত করতে হবে। সকলের সহযোগিতায় এই নদীকে বাঁচিয়ে নদীর দৃষ্টি নন্দন করা।
বর্তমানে করতোয়া নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভাগারে পরিনত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কর্মচারীদের একটি নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, সেটি হলো সরকারি কর্মচারীরা জনগণের সেবক মাত্র। এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আমরা একটা কমিটমেন্ট করেছি যে, সকল সরকারি দপ্তর যারা যেখানে আছি স্বেচ্ছায় করতোয়া নদীকে আমরা পরিস্কারের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করেছি।
স্বেচ্ছাশ্রমে এই কর্মসূচির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হক। তিনি বলেন, করতোয়া নদীকে দৃষ্টিনন্দন করতে ও নাব্যতা ফেরাতে ১২৩ কিলোমিটার জুড়ে আমরা ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দাখিল করেছি। একই সঙ্গে সরকারি দপ্তরগুলোর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী সংস্কারে ৫০ কোটি টাকার ছোট একটি প্রকল্প আছে। এটিও সবুজপাতাভুক্ত। ওই প্রকল্পের আওতায় ওয়াকওয়ে, গাইডওয়ালসহ কিছু কাজ করা সম্ভব। প্রকল্পটি পাশের বিষয়ে জেলা প্রশাসক আশ্বাস দিয়েছেন। বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা জানান, করতোয়ায় আগের মত এখন আর পানি নেই। ময়লা-আবর্জনায় করতোয়া নদী বিলীনের পথে।
আমরা বগুড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে চেষ্টা করিছ জনগনকে উদ্বুদ্ধ করছি কোনভাবেই যেন করতোয়া নদী বিলীন না হয়ে যায়। সেজন্য আমরা বর্জ্যগুলো নিদিষ্টস্থানে ডাম্পিং করার করছি। বগুড়ার নাগরিকদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা বর্জ্যগুলো নদীতে ফেলবেন না।
কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মাসুম আলী বেগ, সিভিল সার্জন ডা. শফিউল আজম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আল মারুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ, শরাফত ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোছা. আফসানা ইয়াসমিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলম, বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ, পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ পরিমল চন্দ্র দাস।।
error: Content is protected !!