হোম » অন্যান্য বিভাগ » খরা এবং কৃষি গবেষণায় রবীন্দ্রনাথের উদ্যোগসমূহ বিশ্লেষিত হওয়া প্রয়োজন- রবীন্দ্র উপাচার্য 

খরা এবং কৃষি গবেষণায় রবীন্দ্রনাথের উদ্যোগসমূহ বিশ্লেষিত হওয়া প্রয়োজন- রবীন্দ্র উপাচার্য 

হাবিবুর রহমান: খরা হল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং ব্যয়বহুল প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে অন্যতম। খরা মারাত্মকভাবে কৃষি, অর্থনীতি, পানি সম্পদ, পরিবেশ এবং সমাজকে প্রভাবিত করে। খরা এবং কৃষি গবেষণায় রবীন্দ্রনাথের উদ্যোগসমূহ বিশ্লেষিত হওয়া প্রয়োজন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় খরা সম্মেলনে এ কথা বলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।
শনিবার (২২ জুলাই) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজম জাতীয় খরা সম্মেলন ২০২৩-এর একটি সেশনের চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। প্রায় প্রতি বছরই, দেশটি একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়, যেমন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়, ঝড়বৃষ্টি, উপকূলীয় ক্ষয়, বন্যা এবং খরা, যার ফলে ব্যাপক জীবন ও সম্পদের ক্ষতি হয় এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে হুমকির মুখে ফেলে।
এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সমাজচিন্তার প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯০৪ সালে ব্রিটিশ গভর্মেন্ট এর রিপোর্ট এর পরিপ্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ ‘স্বদেশী সমাজ’ প্রবন্ধটি লিখেন, যেখানে ভারতবাসীর জলকষ্ট বিষয়টি উঠে আসে। আজ থেকে একশ পঁচিশ বছর পূর্বেও খরা সমস্যায় আমরা ছিলাম, তা এই লেখায় প্রমাণ করে। রবীন্দ্রনাথ বীরভূমে ১৯২২, ১৯২৬ এ প্রকট খরার কারনে কৃষি সমন্বয়ের আদলে সেচ সমন্বয় প্রথার সূচনা করেছিলেন। উল্লেখ্য ৪৯৯টি সেচ প্রকল্পের উদ্যোগ গ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রবীন্দ্র উপাচার্য জানান, ১৯৬০ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ১৯টি খরা হয়েছিল। এছাড়াও বাংলাদেশ ১৯৫১, ১৯৫৭, ১৯৬১, ১৯৭২, ১৯৭৬, ১৯৭৯, ১৯৮৯ এবং ১৯৯৭ সালে মারাত্মক খরার সম্মুখীন হয়েছিল। সুতরাং, আমাদের সকলকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। বিশেষত, উত্তর-পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে উন্নততর পানি ও শস্য ব্যবস্থাপনা, অন্যান্য উৎসের সাথে পানি সরবরাহ বৃদ্ধি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, পানি সংরক্ষণ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, খরা পর্যবেক্ষণ ও সেচ ব্যবস্থাপনার প্রযুক্তি, তীব্র জলাবদ্ধতা ও স্থানীয় পরিকল্পনা এবং পানি সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
error: Content is protected !!