হোম » অন্যান্য বিভাগ » ঢাকা-১৭ ও ৭৮ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ

ঢাকা-১৭ ও ৭৮ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ

আওয়াজ অনলাইন: ঢাকা-১৭ আসনে জাতীয় সংসদ উপনির্বাচনসহ দেশের ১০টি পৌরসভা, দুটি উপজেলা পরিষদ ও ৬৬টি ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৭৮টি প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা।

সোমবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ব্যালটের মাধ্যমে এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

ভোটে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ না এলেও ঢাকা-১৭ আসনে ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তারেকুল ইসলাম ভূঁঞা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তার অভিযোগ, কেন্দ্র তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং প্রতিটা কেন্দ্রে জোর করে নৌকা প্রতীকে সিল দেওয়া হচ্ছে।

অপরদিকে ভোটকেন্দ্র থেকে নিজের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম)।

তবে দুপুরে নির্বাচন নিয়ে ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশন জানায়, নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। কেউ ভোট দিতে পারছেন না, এমন অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি।

নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনে সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি বেশ কম ছিলো। সব প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরাও সময় মতো উপস্থিত ছিলেন না। পোলিং এজেন্টেদের মোবাইল নেওয়া নিষেধ সত্ত্বেও যাদের কাছে মোবাইল পাওয়া গেছে তা নিয়ে নেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনক কমিশনার রাশিদা সুলতানা বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনে সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি বেশ কম ছিলো। সব প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরাও সময় মতো উপস্থিত ছিলেন না। পোলিং এজেন্টেদের মোবাইল নেওয়া নিষেধ সত্ত্বেও যাদের কাছে মোবাইল পাওয়া গেছে তা নিয়ে নেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, অল্প সময় ও মেয়াদে নির্বাচন হওয়ায় ভোটাদের আগ্রহ কম হতে পারে। তাছাড়া সকালে বৃষ্টি ছিলো। একই সঙ্গে অভিজাত এলাকার মানুষের ভোট নিয়ে আগ্রহ কমও থাকতে পারে।

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব বলেন, আমরা ভোট সুষ্ঠু করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। ঢাকায় ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হতে পারে। কিন্তু বেনাপোল পৌরসভা যেখানে ১২ বছর পর ভোট হচ্ছে সেখানে প্রচুর ভোটার উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। ভান্ডারিয়ায় কেউ কেউ সিসি ক্যামেরার ক্যাবল কেটে দিয়েছে। সে ব্যাপারে গোয়েন্দা সদস্যদের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। তবে এর ফলে ভোটের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

এদিকে সার্ক হিউম্যান মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি ও ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবিদ আলী বলেছেন, ভোটার উপস্থিতি কম হলেও প্রার্থীদের কোনো ধরনের অভিযোগ নেই। ভোটারদেরও কোনোভাবে প্রভাবিত করা হয়নি।

কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, আশানুরূপ ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করিনি। যেটা আশা করেছিলাম সেই অনুপাতে হয়নি। তবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। কোনো প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন প্রার্থীর এজেন্টের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাদের কাছ থেকেও কোনো ধরনের অভিযোগ পাইনি। কোনো প্রার্থী এজেন্টকে ভয়ভীতি দেখানো হয়নি বলে আমাদের তারা জানিয়েছেন।

error: Content is protected !!