হোম » অন্যান্য বিভাগ »  তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি

 তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি

মিজানুর রহমান: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে তিস্তা পাড়ের প্রায় ৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
শনিবার সকাল ৬টায় হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের সর্ব বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৫সেন্টিমিটার। যা বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
এর আগে গত শক্রবার সকালে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বিকেলে তা কমে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। তবে আজ শনিবার ভোর থেকে আবারও পানি বাড়তে থাকে। বর্তমান তিস্তায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে  ৫২ দশমিক ৩৫সেন্টিমিটার। যা বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটারে ওপরে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানাগেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে কয়েকদিন থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। গত শুক্রবার রাত থেকে গত কয়েকদিনের তুলনায় পানি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে গড্ডিমারী, সানিয়াজান, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ৭হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পরে।
গত শক্রবার সকালে বিপৎসীমার ৩৫সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বিকেলে তা কমে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। তবে আজ শনিবার ভোর থেকে আবারও পানি বাড়তে থাকে।
বর্তমান তিস্তায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে  ৫২ দশমিক ৩৫সেন্টিমিটার। যা বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটারে ওপরে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সবগুলো জল কপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গড্ডিমারী ইউনিয়নের মাছুম মিয়া বলেন, এই পানি বাড়ে এই কমে। কয়েক দিন থেকে পানি বৃদ্ধির কারনে আমার পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। রান্না করে খাবার খাওয়ার মতো অবস্থা নেই। এখন আবার ভাংঙ্গন শুরু হয়েছে।
গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, আমার ইউনিয়নে প্রায় ৪হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এখন পযন্ত কোন সরকারী ত্রান বরাদ্দ পাইনি। তবে আমার নিজ অর্থায়নে পানি বন্দি পরিবাদের শুকনো খাবার বিতরণ করছি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসাউদ্দৌলা বলেন, গত দুইদিন থেকে উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েক হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিপৎসীমার ২০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বন্দি মানুষদের সবসময় খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, পানি বন্দি মানুদের জন্য শুকনো খাবার ও ত্রান বিতরণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতিমধ্যে পানিবন্দি অনেক পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
error: Content is protected !!