হোম » অন্যান্য বিভাগ » বৃষ্টি কমলেও পানিবন্দী বিভিন্ন জেলার মানুষ

বৃষ্টি কমলেও পানিবন্দী বিভিন্ন জেলার মানুষ

আওয়াজ অনলাইন: সুনামগঞ্জে নদীর পানি কিছুটা কমলেও বেশিরভাগ নদ নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ওপরে রয়েছে। পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। এদিকে সারাদেশে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল কমার সঙ্গে সঙ্গে নদ নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।

সুনামগঞ্জে বৃষ্টি কমলেও কমেছে উজানের ঢলও। তবে এখনো প্রধান নদী সুরমাসহ অন্যান্য নদ নদীর পানি বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে।

আকস্মিক বন্যার কারণে দুর্ভোগে শাল্লা, মধ্যনগর ও তাহেরপুরের নিচু এলাকার এলাকার মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, হুট করে পানি বাড়ায় অনেকের চাষের মাছ ভেসে গেছে। তাছাড়া চলাফেরাও স্বাভাবিক কাজকর্মও রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নেত্রকোণায় বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে কয়েকদিন নেত্রকোণায় নদ নদীর পানি বাড়লেও এখন কমতে শুরু করেছে। তবে বৃষ্টির পানিতে বন্দি দিন কাটছে পৌরশহরের চল্লিশা পাড়া এলাকার দেড় শতাধিক পরিবারের মানুষ।

তারা জানান, ঢলের কারণে সড়ক তলিয়ে গেছে। যার ফলে চলাফেরা করা যাচ্ছে না।

পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।

নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান, যেহেতু ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কমে এসেছে আসা করছি এখন আর লোকালয়ে পানি ঢুকবে না এবং বন্যা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

হবিগঞ্জে খোয়াই ও কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে আছে। তবে আজমিরিগঞ্জ ও নবীগঞ্জ উপজেলার কিছু নিচু এলাকায় হাওড়ে পানি ঢুকেছে।

নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টেও পানি বিপদসীমার নিচেই আছে। তবে নদীর পানি বাড়ায় নদী পাড়ের নিচু এলাকা ফসলি জমিতে পানি ঢুকে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম গত কয়েকদিনের মাঝারি বৃষ্টিতে ও উজান ঢলে দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তবে তা এখনও রয়েছে বিপদসীমার নিচে।

error: Content is protected !!