হোম » অন্যান্য বিভাগ » দুদকের মামলায় ১১ মাস পর কারামুক্ত বিএনপির টিএস আইয়ুব

দুদকের মামলায় ১১ মাস পর কারামুক্ত বিএনপির টিএস আইয়ুব

এস আর নিরব যশোরঃ যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব কারামুক্ত হয়েছেন। ভুয়া এলসির মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংকের প্রায় ২১ কোটি ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ১১ মাস পর কারামুক্ত হন টিএস আইয়ুব।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে ১১ মাস তিন পর ময়মনসিংহ জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামসুর রহমান। এর আগে ২০২২ সালের ২৯ জুলাই রাতে নিজ উপজেলা বাঘারপাড়ার দরাজহাট ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামের মাসুদুর রহমানের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুর্নীতিসহ পাঁচটি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন তিনি।
মামলার এজাহার মতে, ২০১৭ সালে সাইমেক্স লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেডের এমডি টিএস আইয়ুব ও পরিচালক তার স্ত্রী তানিয়া রহমান ঢাকা ব্যাংক ধানমন্ডি মডেল শাখায় যৌথভাবে একটি চলতি হিসাব খোলেন। পরবর্তীতে নামসর্বস্ব ক্ষুদ্রাকার ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশি তিন বায়ারের নামে ১৯ পণ্য রফতানি করা হবে মর্মে ওই ব্যাংকে এলসি খোলেন। কোন পণ্য বিদেশে রফতানি না যাবতীয় কাগজপত্র তৈরি করে ২৬ রফতানি বিল ঢাকা ব্যাংক ধানমন্ডি মডেল শাখায় জমা দেন। এর মধ্যে ১৭ বিলের বিপরীতে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ১২৬ টাকা ট্রান্সফার করেন। ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত রফতানিকারক ওই টাকা উত্তোলন করেন।
তার মধ্যে তিনটি বিলের মূল্যসহ ৪র্থ বিলের আংশিক ৫ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার ৭০৮ টাকা ব্যাংকে ফেরত দিয়ে বাকি ১৪ বিলের ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪১৭ টাকা ব্যাংকে ফেরত না দিয়ে আত্মসাত করেন। ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে সাইমেক্স লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেডের এমডি তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব (ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব) ও তার স্ত্রী পরিচালক তানিয়া রহমানসহ ৯ জনকে আসামি করে মানিলন্ডারিং, দুর্নীতি দমন ও দন্ডবিধি আইনে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। এ মামলা তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় এমডি, পরিচালক, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ১৫ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন দুদকের সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তা আনিমুল ইসলামের অব্যহতি দেওয়া হয়। টিএস আইয়ুব ছাড়াও এই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলো, তার স্ত্রী কোম্পানির পরিচালক তানিয়া রহমান, ঢাকা ব্যাংক কর্মকর্তা সুলতানা ফাহমিদা, ব্যাংক কর্মকর্তা মঈমুল ইসলাম, ব্যাংক কর্মকর্তা জুম্মা খান, এস এন্ড এস এজিন্সির মালিক বিভূতি ভূষণ বালা, মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ আসাদুজ্জামান মিন্টু, মেসার্স সাদত এন্টারপ্রইজের মালিক আমিনুল ইসলাম, মেসার্স হেরা এন্টারপ্রাইজের মালিক আসমত আরা জামান। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৮ এ বদলি হয়। এর পর ২০২২ সালের ২৯ জুলাই এ মামলার ধার্য দিনে জামিন নিয়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব ও তার স্ত্রী তানিয়া রহমানসহ অন্যান্য পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। প্রসঙ্গত, টিএস আইয়ুব পেশায় একজন লেদার ইঞ্জিনিয়ার।
error: Content is protected !!