হোম » অন্যান্য বিভাগ » সোনাইমুড়ীতে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সোনাইমুড়ীতে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মোহাম্মদ হানিফ  (গোলজার) নোয়াখালী প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষীকি উপলক্ষে নোয়াখালী ১ মাননীয় সাংসদ এইচ এম ইব্রাহীম এমপির নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মমিনুল ইসলাম বাকের ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের নেতা আরিফুল ইসলাম সুজন এর নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আনন্দ র‌্যালি, আলোচনা সভাসহ বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে করেছেন।
নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলায়  নানা আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের  ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও অঙ্গ সংগঠন।  এরমধ্যে রয়েছে রেলি ও কেক কাটা   মধ্যদিয়ে কর্মসূচির রঙিন পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড টানানো হয়েছে।ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি পালন করছেন নেতকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সোনাইমুড়ী উপজেলা  আওয়ামী লীগ সভাপতি  মমিনুল ইসলাম বাকের.উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. বাবুল বাবুল . সোনাইমুড়ী উপজেলা পৌরসভার  মেয়র ভিপি নুরুল হক চৌধুরী . জেলা পরিষদের সদস্য ভিপি  বাহার ..  সোনাইমুড়ী পৌরসভা,আব্দুল নুর দুলাল বাংলাদেশ বার সাধারণ সম্পাদক ,খলিলুর রহমান আহবায়ক উপজেলা যুবলীগ, মোঃ নুর উদ্দিন শামীম যুগ্ম আহ্বায়ক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আরিফুল ইসলাম সুজন পৌরসভা আওয়ামী লীগ, ওমর ফারুক মানিক উপজেলা আওয়ামী লীগ, আরিফ সভাপতি উপজেলা ছাত্রলীগ,নিজাম উদ্দিন নান্নু সদস্য উপজেলা যুবলীগ।
ও পৌরসভা শ্রমিক লীগ সভাপতি রনি।
প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দলটির নেতৃত্বেই এ দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। রোজগার্ডেনে জন্মগ্রহণের পর থেকে নানা লড়াই, সংগ্রাম ও চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দলটি এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়।
মহান  ও স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে এই রাজনৈতিক দলটির জন্ম হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাঙালির অধিকার আদায়ের সব আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ঐতিহ্যবাহী দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
শুরুতে দলের নাম ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ করা হলেও পরবর্তীতে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি মুক্তির সনদ রচনা এবং ’৬৯-এর গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসন অবসানের প্রতিশ্রুতি অর্জন দলটিকে মুক্তিকামী মানুষের আশ্রয়স্থলে পরিণত করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের জন্যই আওয়ামী লীগকে ’৭০-এর নির্বাচনে পূর্ব-বাংলার মানুষ তাদের মুক্তির ম্যান্ডেট দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ভূখণ্ডে প্রতিটি প্রাপ্তি ও অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালির অর্জন এবং বাংলাদেশের সকল উন্নয়নের মূলে রয়েছে আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনরাও মনে করেন, আওয়ামী লীগের অর্জন পাকিস্তান আমলের গণতান্ত্রিক অর্জন, এই দলের অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে এ দলটি।
ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ গঠনে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর থেকে নানা ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস্তূপ থেকে উঠে এসে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের অর্জন পাকিস্তান আমলের গণতান্ত্রিক অর্জন, এই দলের অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে এ দলটি। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ গঠনে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর থেকে দেশ বিরোধীদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস্তুপ থেকে উঠে এসে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।
আওয়ামী লীগ দেশের অন্যতম পুরোনো, অসাম্প্রদায়িক, সর্ববৃহৎ ও বাঙালির জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল। আর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার কাজ প্রথম শুরু করেন জাতির জনক  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা হলেও দীর্ঘ একুশ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয়ী হয়ে দলটি ক্ষমতায় ফিরে আসে। পরবর্তীতে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা দিয়ে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় বিজয় অর্জন করে এবং সেই থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে।
আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করেছে। ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে এবং রায়ও কার্যকর করা হচ্ছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করা হয়েছে।
error: Content is protected !!