হোম » অন্যান্য বিভাগ » বাজেটে গুরুত্ব পায়নি শিক্ষাখাত

বাজেটে গুরুত্ব পায়নি শিক্ষাখাত

আওয়াজ অনলাইন: সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮৮ হাজার ১৬১ কোটি টাকা।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় শিক্ষাকে বাজেটে আরো অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার ছিল বলে অভিমত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী ঝরে গেছে। এ অবস্থায় শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধি আশঙ্কাজনক। তবে বাজেটের ভালো দিক হচ্ছে সিগারেটের ওপর কর বৃদ্ধি। দাম বাড়ার কারণে চাহিদা কমবে। সেক্ষেত্রে আমাদের পরিবেশের জন্য ভালো হবে। এছাড়া ভ্রমণ করসহ বিলাসবহুল পণ্যে দাম বাড়ানোটা স্বস্তিদায়ক।

তবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রতিবারই অবহেলা করা হয় বলে মনে করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় শিক্ষায়। আর এ বাজেটে শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ছে। শিক্ষা উপকরণে কর আরোপ করাটা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যথাযথ হয়নি। বাজেট আকার বেড়েছে অনেক। আইএমএফে-এর ঋণের উচ্চচাপের একটি প্রভাব থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসেরও দাম বাড়বে।

অপরদিকে এই বাজেটকে শিক্ষা ধ্বংসের বাজেট হিসেবে আখ্যা দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ইউনেস্কোর মতে, কোনো দেশের জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা উচিত। সেখানে এ অর্থবছরে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ মাত্র ১.৭৬ শতাংশ! গত বাজেটে যা ছিল ১.৮৩ শতাংশ। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় এ বরাদ্দ খুবই কম, কিন্তু সরকার এই অর্থ বছরে আরো কমিয়েছে। ফলে বাজেটে কম বরাদ্দ শিক্ষার প্রতিটি স্তরেই মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার অধিকার মৌলিক এবং মানবিক। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এ অধিকার তার নাগরিকদের জন্য নিশ্চিত করে। কিন্তু আমরা এর উল্টোটা দেখতে পাচ্ছি। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমানোর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র – সরকার একদিকে যেমন শিক্ষা সংকোচনের পথে হাঁটছে–শিক্ষার অধিকার থেকে নাগরিককে বঞ্চিত করছে।

error: Content is protected !!